বরগুনার পাথরঘাটায় আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত চারজন রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং স্থানীয় ক্লিনিকে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বরগুনার সিভিল সার্জন আবু ফাত্তাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরকারি হিসাবে এ নিয়ে চলতি বছর জেলার ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা গেলেন। এর মধ্যে বরগুনার জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন ৯ জন।
সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন পাথরঘাটা উপজেলার উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুটাবাছা এলাকার সুজন ঢালীর মেয়ে শুক্লা ঢালী (১৩), আমড়াতলা এলাকার হাসান (২৫), কাকচিড়া ইউনিয়নের হরিদ্রা এলাকার সিদ্দিক মোল্লা (৪৫) এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রুহিত এলাকার নুরজাহান বেগম (৭৫)।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাখাল বিশ্বাস অপূর্ব জানান, গত কয়েক দিন বৃষ্টি ছিলে। বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে। প্রতিনিয়ত জ্বর নিয়ে রোগী আসছেন চিকিৎসা নিতে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় ৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জুনের মাঝামাঝি সময়ে বরগুনায় এডিস মশার লার্ভা জরিপ কার্যক্রম চালায়। গত ২৬ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে জানায়, বরগুনা পৌরসভার ৩১ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলের ৭৬ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।