বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা গণ-রান্না কর্মসূচির কথা বলেছি। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকার ডিসিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় দৈনিক অন্তত ৮ লাখ মানুষের খাবার নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাকের এসব কথা বলেন।
বাকের বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আমরা রেস্কিউ ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করি। কিন্তু আমাদের রেস্কিউ টিম যেহেতু প্রশিক্ষিত না তাই নৌবাহিনীর পরামর্শে আমরা পুরোপুরি ত্রাণ কার্যক্রমে মনযোগ দেই। আমরা জামা-কাপড় স্টক করে রেখেছি। যেহেতু আমাদেরকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জানানো হয়েছে জামা-কাপড়ের চেয়ে খাবার বেশি প্রয়োজন এই মূহুর্তে। তাই দেশবাসীকে বলব, আপনারা জামা-কাপড় না দিয়ে এই মূহুর্তে আমাদের খাদ্যসামগ্রী ত্রাণ হিসেবে দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে কর্মযজ্ঞ তা দিয়ে আমরা একদিনে ২৫ হাজার পরিবারের জন্য প্যাকেজিং করতে পারি। প্রতিনিয়ত আমরা ২৫ হাজার পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি।’
বাকের বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকার যে চাহিদা সে অনুযায়ী আমাদের যোগান অনেক কম। আমরা নিয়মিত ত্রাণ পাঠাচ্ছি। সব এলাকায় যদি আমরা ত্রাণ পাঠাতে চাই, তাতে আমাদের ২০ দিনের মত সময় লাগবে। দেশবাসীকে বলব, আপনারা আরও বেশি বেশি ত্রাণ পাঠান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশবাসীর যেকোনো সংকটে পাশে থাকবে।’
‘আমাদের কাছে নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ আসে তা আমরা তিন দিন পর পর সাংবাদিকদের জানিয়ে দেব। কেননা, আমাদের এত বড় কর্মযজ্ঞের মধ্যে টাকার হিসেব অডিট করার সুযোগ আমরা কম পাই। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতি তিন দিন পর পর আমরা আপডেট দিব।’ , যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, ‘টিএসসি, ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ড এ আমাদের ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে। আজকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টিএসসিতে নগদ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার।’
সমন্বয়ক রেজওয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৫টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০টির অধির ট্রাক কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনি, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুর গেছে।