রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় মগবান ইউনিয়নে মোরঘোনায় বনভান্তের স্মৃতিমন্দিরে কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব অংসুইপ্রু চৌধুরী। আরো উপস্থিত রয়েছেন প্রাক্তন উপমন্ত্রী জনাব মনি স্বপন দেওয়ান, প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা ও সভাপতি স্মৃতিমন্দির পরিচালনা কমিটি।
অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি যে সময়ে বুদ্ধ ধর্মের উন্নতির সময়। এ সময় আমরা ইচ্ছামত ভিক্ষু পাচ্ছি এবং দান করতে পারছি। তাই পূণ্য সঞ্চয়ের উপযুক্ত সময়ে আছি আমি মনে করি আমরা সৌভাগ্যবান। তিনি আগামী অর্থবছরে ভান্তের থাকার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
মনিস্বপন দেওয়ান বলেন প্রত্তোত্তর সমূৎপাতনীতি জ্ঞান সকল দুঃখের কার্যকরণ জ্ঞান উৎপত্তি ও বিলুপ্তির জ্ঞান অর্জন করি। এ জ্ঞানের দ্বারা ভগবান বুদ্ধ সকল দুঃখ কারণ ও বিলুপ্তির উপায় জেনেছেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অরুন কান্তি চাকমা। তিনি বলেন মোরঘোনা স্মৃতিমন্দিরে নানাবিদ সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে মাত্র দুই জন ভান্তে থাকার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। আগামীতে এক সংঘ ভিক্ষু রাখার ব্যবস্থার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উপস্থিত ভিক্ষু সংঘের মধ্য থেকে বিহার অধ্যক্ষ সাংকাস্য মহাস্থবির ভান্তে স্মৃতিমন্দিরের প্রয়োজনীয়তা ও বনভান্তের অবদানের উপর আলোকপাত করেন।
বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থরিব ভান্তে বিভিন্ন উপমা সহকারে বনভান্তের দর্শন ও বর্তমান অবস্থার তুলনামূলক ধর্ম দেশনা প্রদান করেন।
অন্যান্য বছরের তুলনায় পূণ্যার্থীদের আগমন কিছুটা কমেছে। তারপরও হাজারো পূণ্যার্থীদের সরব উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে সাফল ও সভাবর্ধন করেছে।