বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় এক্সেল ভেঙে দু’টি ট্রাক বিকল হয়ে পড়েছে। এতে সেতুর দুই দিকে সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে সেতুর পূর্ব দিক এলেঙ্গায় দুর্ঘটনাকবলিত প্রথম ট্রাকের এক্সেল ভেঙে পড়ে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-রাজশাহী মহাসড়কে শতশত যানবাহন আটকে পড়ে। উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।
এরপর সেতুর মাঝখানে উত্তর লেনে আরেকটি ট্রাকের এক্সেল ভেঙে যায়। এতে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যান চলাচল পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ে। এ সময় সেতুর দুই দিকে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের চাপ বাড়ে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম টোলপ্লাজায় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে দুই-তিন ঘণ্টা টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। সেতুর দুই দিকে শতশত যানবাহন আটকে পড়ায় গরমে বিপাকে পড়েন চালক-যাত্রীরা। খবর পেয়ে সেতু রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বে থাকা কর্মীরা রেকার নিয়ে বিকল ট্রাক দু’টি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সকাল ৯টা পর্যন্ত সেতুর পূর্ব পারে থেমে থেমে যানজট ও যানবাহনের ধীরগতি ছিল। এর প্রভাবে সেতুর পশ্চিম দিকে গোলচত্বর থেকে সয়দাবাদ-মুলিবাড়ি পর্যন্ত থেমে থেমে ধীরগতি দেখা গেছে।
থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী জানান, সেতুর পূর্ব পারে এলেঙ্গায় একটি ট্রাক দুর্ঘটনায় বিকল হওয়ায় সেখানে যানজট শুরু হয়। ঢাকা-উত্তরাঞ্চল লেনটি চলাচলে স্বাভাবিক থাকলেও উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে পড়ে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা বিবিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবীর পাভেল সকাল নয়টায় সমকালকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পারে এলেঙ্গা ও সেতুর মাঝখানে দু’টি ট্রাক ‘ব্রেকডাউন’ হয়ে বিকল হয়ে পড়ে।
এতে দুই পারে যান চলাচলে ধীরগতি ও থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। ঢাকাগামী উত্তরের হাজারও যানবাহন আটকা পড়ায় টোল কার্যক্রমও সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। ট্রাক দু’টি সরানো হয়েছে। আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।