শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া বলেন, এই মামলায় গ্রেপ্তার সোহাগকে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, একই এলাকায় থাকার কারণে মো. সোহাগের সঙ্গে সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া ওই ছাত্রীর পরিবারের পরিচয় হয়। এ কারণে সোহাগ প্রায়ই বাড়িতে আসা–যাওয়া করতেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় ওই ছাত্রী শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। এ সময় বাড়ির আঙিনায় ওত পেতে থাকা সোহাগ তাঁকে জোর করে ধরে পাশের একটি ফসলি খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। বাড়ির লোকজন মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় মো. সোহাগ টের পেয়ে ওই ছাত্রীকে গ্রামের সড়কের ওপর রেখে সটকে পড়েন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শেরপুর থানায় গতকাল সন্ধ্যায় থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এরপরই অভিযান চালিয়ে উপজেলা শুভগাছা বাজার এলাকা থেকে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।