সবজির পাইকারি মোকাম বগুড়ার মহাস্থান হাটে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। এক দিনের ব্যবধানে আজ রোববার দুপুরে সেখানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেক কমে ২৫০ টাকা হয়েছে।
তবে ১২ কিলোমিটার দূরের বগুড়া শহরের বাজারে এখনো কাঁচা মরিচের দামের তেমন কমেনি। বগুড়া শহরের রাজাবাজারে পাইকারি পর্যায়ে আজ এক কেজি কাঁচা মরিচ ৩৪০ এবং খুচরা পর্যায়ে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
গতকাল শনিবার মহাস্থান হাটে পাইকারি পর্যায়ে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৫০০ টাকা। ফড়িয়া-ব্যাপারীদের এক হাত বদল হয়ে বগুড়া শহরের ফতেহ আলী সবজির খুচরা বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
মহাস্থান হাটের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী মিনাদুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ ঘাটতির কারণে গতকাল এক কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি পর্যায়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ সকাল থেকেই হাটে হঠাৎ করে প্রচুর কাঁচা মরিচের সরবরাহ হয়। সকালে দিনের শুরুতে এক কেজি কাঁচা মরিচ ৩৬০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। বেলা যত বেড়েছে, হাটে কাঁচা মরিচের সরবরাহ তত বেড়েছে। কমেছে দাম। বেলা ১১টার দিকে দাম পড়ে ৩০০ টাকা কেজি হয়ে যায়। দুপুরে আরেক ধাপ দাম পড়ে দেড়টার দিকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।
উৎপাদন এলাকা বগুড়ায় কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০
মহাস্থান হাটের সবজি ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সবজির উৎপাদন এলাকাখ্যাত এ মোকামে বছরের এই সময়ে গড়ে ১০ টন কাঁচা মরিচ বিক্রির জন্য আনা হত। গতকাল এসেছে এক টনেরও কম। এক দিনের ব্যবধানে হাটে রেকর্ড কাঁচা মরিচের সরবরাহ হয়েছে। দামও ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় (কেজিতে) নেমেছে। মরিচের সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনী, কুমিল্লাসহ অন্য মোকামে চাহিদামতো কাঁচা মরিচ চালান পাঠানো শুরু হয়েছে।
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আড়ত থেকে শহর পর্যন্ত এক কেজি মরিচের আড়তদারি কমিশন, পরিবহন, হাটের খাজনাসহ শহরে পাঠাতে সর্বোচ্চ খরচ দূরত্ব ভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা।
আজ দুপুরে মোকাম থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে শহরের ফতেহ আলী বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে রাজাবাজারে পাইকারি পর্যায়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।
দেশে মরিচের কেজি ৫০০ টাকার বেশি
ফতেহ আলী বাজারের খুচরা বিক্রেতা মতিউর রহমান বলেন, ‘এক দিন আগেও এক কেজি কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন সেই মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
রাজাবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ বলেন, কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।