বগুড়ায় গণঅধিকার পরিষদের মিছিল ও সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গণঅধিকার পরিষদের অন্তত ১৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়, পিটিআই মোড় ও রহমান নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ বগুড়া জেলা আয়োজিত শান্তিপূর্ণ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা। তবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হামলায় আহতরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক সজল রহমান, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিবুল্লাহ, শেরপুর উপেজলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রকি, মাহামুদুল হাসান শাওন, হাসিবুল, আবু সাইদ ও তানিনসহ ১৮ জন। এর মধ্যে রাকিবুল হাসান রকি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাকে শেরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ জানান, গণঅধিকার পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শহরের সাতমাথায় মিছিল, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সাতমাথা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইয়াকুবিয়ার মোড়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর দ্রুত ওই জায়গা ত্যাগ করা হয়। সেখান থেকে পিটিআই মোড় ও রহমান নগর যাওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্ব আরও দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
পলাশ বলেন, হামলার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোটা ও বাঁশ ছিল। আমাদের নেতাকর্মীদের তারা রাস্তায় ফেলে অমানবিকভাবে পিটিয়েছে। শেরপুরের সাধারণ সম্পাদক রকির মাথায় বাঁশ দিয়ে মারত্মকভাবে আঘাত করা হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর খোরশেদ আলম বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশে হঠাৎ করে ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এতে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, যা ন্যাক্কারজনক। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা। তিনি বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। ছাত্রলীগের কেউ তাদের ওপর হামলা করেনি। তারা সাতমাথায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দিয়েছে বলে শুনেছি।
বগুড়া সদর থানা অফিস ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে কিছু জানা নেই। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি৷
কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, তারা গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনুমতি চেয়েছিল। তবে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওনারা যেখানেই কর্মসূচি দেয় সেখানেই গণ্ডগোল হয়। এ কারণে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। বরং ওনারা অনুমতি ছাড়া প্রোগাম করেছেন।