ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ছোট শহরগুলোতে ভোটদান চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। আর বড় শহরগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র খোলা থাকবে। খবর রয়টার্সে।
আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হলে জানা যাবে চূড়ান্ত ফলাফল।
ফ্রান্সে পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসনের জন্য দুই দফায় ভোট হয়ে থাকে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন।।
ভোটের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, এবার অতি ডানপন্থি রাজনীতিবিদ মেরিন লে পেন এবং জর্ডান বারডেলার দল আরএন বেশ এগিয়ে রয়েছে। দলটি জিতলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে অতি ডানপন্থিরা ক্ষমতায় আসবে।
বুধবার স্থানীয় এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লে পেন বলেছেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিততে যাচ্ছি আমরা। জিতলে বারডেলা প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে জনমত জরিপগুলো বলছে, আরএন এগিয়ে থাকলেও, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাদের দাবি, ভোটে ৩৩ থেকে ৩৬ শতাংশ ভোট পাবে আরএন। বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট পাবে ২৮ থেকে ২৯ শতাংশ আর ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট পাবে ২০ থেকে ২৩ শতাংশ ভোট।
ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত ২২ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হচ্ছে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। নিজ দেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থিদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে তড়িঘড়ি করে ফ্রান্সে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।