‘ফেরারি পাখি’ কিংবা ‘নীল মণিহারে’ তিনি বেঁচে থাকবেন যুগের পর যুগ

0
189
লাকী আখান্দ্‌ (১৮ জুন ১৯৫৬ – ২১ এপ্রিল ২০১৭)

সেই গানের গল্পটা তাঁর কাছ থেকে শোনা। ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দুজনে…।’ সেদিন পুরান ঢাকার আরমানিটোলা থেকে কি যেন একটা কাজে উত্তর ঢাকার একটি এলাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। স্টেশন ওয়াগনের ড্রাইভিং সিটে তিনি নিজে। গাড়ি চালাতে চালাতে বলছিলেন সেই গানের গল্পটা। গীতিকার এস এম হেদায়েত ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তৎকালীন নওগাঁর জমিদারবাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন একসঙ্গে। একদিন বেরিয়ে দেখলেন আকাশে রঙিন মেঘ, বেদে মেয়েরা রং-ঝলমল শাড়ি পরে হেঁটে যাচ্ছে…বেশ মন ভালো করা চারপাশ। এস এম হেদায়েত লেখালেখি করার জন্য ছোট্ট ডায়েরি রাখতেন সঙ্গে। লাকী আখান্দ্ এই সুন্দর প্রকৃতি আর চারপাশ দেখে বন্ধুকে অনুরোধ করলেন কিছু লিখতে। ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা/ শুধু দুজনে’—বন্ধুর অনুরোধে লেখা হলো দুটি লাইন। লাকী আখান্দ্ তাগাদা দিলেন পরের কথাগুলোও লিখে ফেলতে। কিন্তু গীতিকার কিছুতেই আর বাকি লাইনগুলো খুঁজে পান না। শেষে অনেক কাটাছেঁড়ার পর লেখা হলো, ‘চলো না ঘুরে আসি, অজানাতে/ যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।’
গানটি যেমন বারবার শুনি, তেমনি গানের গল্পটাও মনে পড়ে বারবার। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে গুণী মানুষটাকে, প্রিয় লাকী আখান্দ্‌কে।

২০১৭ সালের এই দিনে তিনি বিদায় নিয়েছেন। আজকের দিনে তাঁকে আরও বেশি মনে পড়ছে। শুনছি তাঁর গাওয়া, তাঁর সৃষ্টি বাংলা গানগুলো।

আমিনুল হক থেকে লাকী আখান্দ্‌
জন্মের পর তাঁর নাম রাখা হয়েছিল এ টি আমিনুল হক। পরে মা নাম বদলে এ টি এম আমিনুল হাসান করেছিলেন। ম্যাট্রিকের সার্টিফিকেটেও এই নাম আছে। তবে যুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে তিনি ছদ্মনাম রাখেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, নাম পাল্টানোর কারণ হিসেবে তিনি দেশে পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবেছিলেন।

লাকী আখান্দ্‌
লাকী আখান্দ্‌সংগৃহীত

কারণ মা-বাবা দেশে থাকেন। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে তাঁর গান বাজে। পাকিস্তানি আর্মিরা কোনোভাবে আসল পরিচয় জানলে দেশে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলতে পারে। পরে স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে পূর্বপুরুষের পদবি নিয়ে নিজের নাম রাখলেন লাকী আখান্দ্‌।
বাবার হাত ধরে সংগীতের দুনিয়ায়
পুরান ঢাকার এক সংগীতানুরাগী পরিবারে জন্ম লাকী আখান্দে্‌র। তিন ভাই জলি, হ্যাপী ও লাকীর সংগীতের প্রতি অনুরাগ পারিবারিকভাবেই। পাঁচ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে সংগীতশিক্ষায় হাতেখড়ি তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বাবার কাছ থেকে আমাদের গানের প্রতি ভালোবাসার শুরু। আমাদের বাবা গ্রেট মিউজিশিয়ান ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ আর্মিতে লেফটেন্যান্ট ছিলেন। আর্মি থেকে চলে আসার পর তাঁর গানের প্রতি ভালোবাসা জন্মে। তিনি গানের একেবারে পাগল ছিলেন। সন্ধ্যা সাতটায় হারমোনিয়াম নিয়ে বসতেন। ঠুমরি, এটা-ওটা গাইতে গাইতে রাত তিনটা বেজে যেত। এগুলো শুনেই তো আমরা বড় হয়েছি। তবে বাবার কাছ থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমি কিছু শিখিনি। এভাবেই শিখেছি।’ ১৯৬৩-৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন ও রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ।

১৩ বছর বয়সে আধুনিক গানে পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলের পুরস্কার পান। ১৪ বছর বয়সে এইচএমভি পাকিস্তান কোম্পানির সুরকার হিসেবে লাকী আখান্দে্‌র নাম তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ইন্ডিয়ায় সুরকার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।

লাকী আখান্দ্‌
লাকী আখান্দ্‌

যেভাবে এইচএমভিতে
প্রথম আলোতে প্রকাশিত জাহীদ রেজা নূরের লেখায় জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মে মাসে লাকী আখান্দ্ কলকাতায় যান। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে গিয়ে দেখা করলেন সমর দাসের সঙ্গে। সমর দাস বললেন, ‘এখন এখানে সুরকার লাগবে না। তুমি চলে যাও!’ ‘আমি তো টাকাপয়সা কিছুই নিয়ে আসিনি! আমি কি রাস্তায় থাকব?’ অবাক হয়ে বলেছিলেন লাকী আখান্দ্। উত্তর ছিল, ‘এখন যাও, পরে আমরা ব্যবস্থা করব!’ শ্যামল মিত্রের ঠিকানা জোগাড় করে গিয়েছিলেন আকাশবাণীতে। শ্যামল মিত্র তাঁর কথা শুনে বললেন, ‘আপনি আমার এখানে এসেছেন কেন? সরাসরি এইচএমভিতে গেলেই তো পারেন!’ খুবই মন খারাপ হয়ে গেল লাকী আখান্দে্‌র। শ্যামল মিত্রের চোখে চোখ রেখে বললেন, ‘আমি আপনার গান গেয়ে বড় হয়েছি। আপনি আমার সবকিছু। আপনি যদি এভাবে কথা বলেন, তাহলে আমি একা একাই চলে যাব।’

শ্যামল মিত্র নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেটির হাতে তুলে দিলেন একটি চিরকুট। তাতে লিখলেন, ‘ওকে দিয়ে কিছু সম্ভব হলে করবেন!’ শ্যামল মিত্র চিঠিটা তুলে দিতে বললেন প্রতিষ্ঠানের সন্তোষ সেনগুপ্তের হাতে। লাকী আখান্দ্ চিঠিটা দিলেন। সন্তোষ সেনগুপ্ত তা দেখে বললেন, ‘বসুন’। তারপর চা-বিস্কুট এল। ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে একটা ব্রেক হলো। সে সময় হাতের কাছে একটা হারমোনিয়াম দেখে যেন পাগল হয়ে গেলেন লাকী আখান্দ্। চারদিক ভুলে একমনে বাজাতে লাগলেন হারমোনিয়াম এবং একের পর এক গাইতে লাগলেন গান। সুরকার ও গীতিকার অভিজিৎ ব্যানার্জি (হেমন্তের কণ্ঠে যাঁর বিখ্যাত গান ‘সবাই চলে গেছে, শুধু একটি মাধবী তুমি’ ও ‘আমিও নদীর মতো হারিয়ে যাব’) লাকী আখান্দে্‌র সাক্ষাৎকার নিলেন। শিল্পীরাও লাকীর গান শুনতে ভিড় করেছেন ওই ঘরে। এ সময় হাসতে হাসতে সন্তোষ সেনগুপ্ত সেখানে হাজির। তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য শিল্পী ঠিক করে ফেলেছি। বনশ্রী সেনগুপ্ত আর গোরাচাঁদ মুখার্জি দুটি করে তোমার সুরে গান গাইবেন!’ এইচএমভিতে এভাবেই ঢুকে গেলেন এই তরুণ।

ছেলেবেলার ছবিতে দুই ভাই হ্যাপী আখান্দ্‌ ও লাকী আখান্দ্‌। ছবি: পারিবারিক অ্যালবাম থেকে নেওয়া
ছেলেবেলার ছবিতে দুই ভাই হ্যাপী আখান্দ্‌ ও লাকী আখান্দ্‌। ছবি: পারিবারিক অ্যালবাম থেকে নেওয়া

ঢাকায় ফিরে এসে
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বিজয়ের পর দেশে ফিরে বাংলাদেশ বেতারে যোগ দেন। পরিচালক (সংগীত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চাকরিজীবনের শেষ পর্বে। শিল্পীর সহোদর ক্ষণজন্মা হ্যাপী আখান্দে্‌র সঙ্গে ছিল তাঁর আত্মার সম্পর্ক। ১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখান্দে্‌র অকালমৃত্যু লাকীর সংগীতজীবনকেও থমকে দেয়।

এই প্রতিবেদকের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেছিলেন, ‘বাবার কাছ থেকে যা জেনেছি, হ্যাপীকে শিখিয়েছি। হ্যাপীকে আমি অনেক দুঃখ দিয়েছি। তখন আমাদের অনেক অভাব ছিল, দুঃখ-যন্ত্রণা ছিল। তবে সংসারে যদি অভাব না থাকত, আমাদের ভেতরে যদি কষ্ট না থাকত; তাহলে আমাদের ভেতরে মিউজিক ঢুকত না।’ ভাইয়ের মৃত্যুর পর দীর্ঘকাল তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। অনেক পরে আবার গানে ফেরেন তিনি।

১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে লাকী আখান্দে্‌র প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখান্দ্‌’ প্রকাশ পায়। তিনি ব্যান্ড দল হ্যাপী টাচের সদস্য ছিলেন। ওই সময়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে ছিল ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামুনিয়া, ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’, ‘কী করে বললে তুমি’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেয়ো না’ প্রভৃতি।
অন্যদের চেয়ে আলাদা লাকী আখান্দ্
তাঁর সময়ে তিনি ছিলেন অন্যদের চেয়ে আলাদা। সুরকার হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন। গানের বাণীকে গুরুত্ব দিয়ে আবহ ও পারিপার্শ্বিকতা তৈরি করেছে সুর। অভিন্ন সুর অথচ ভিন্ন ভিন্ন সংগীত আয়োজনে গাওয়া হয়েছে একই গান। এই নিরীক্ষা মন জয় করেছে সবার, শ্রোতারা পেয়েছেন নতুনত্বের স্বাদ। সুরকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করতে এ দেশে হামিংয়ের সফল ব্যবহারে সামনের সারির একজন লাকী আখান্দ্‌। পাশাপাশি পানির গ্লাস, চিরুনি, দেশলাইয়ের বক্সের মতো নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যসামগ্রীর গায়ে টোকা দিয়ে অভিনব অথচ শ্রুতিমধুর ছন্দ সৃষ্টির কৌশলের (শেকার) সফল প্রয়োগের অগ্রপথিক তিনি।

‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘এই নীল মণিহার’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’, ‘তুমি কি দেখেছ পাহাড়ি ঝরনা’,‘তুমি ডাকলে কাছে আসতাম সে তো জানতেই’ এমন সব গান শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরদিনের জন্য ঠাঁই করে নিয়েছে বাণী ও আবহের সঙ্গে।

বাণী ও সুরের বন্ধনকে বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ করেছে হামিং ও শেকার। তাঁর সুর করা গানে ভিন্ন ধারার শ্রুতিমধুর বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হয়েছে অনিবার্যভাবে, তবে গানের বাণী হারিয়ে যায়নি সুরের প্রাধান্যে।

লাকী আখান্দ্‌
লাকী আখান্দ্‌

দুটি গানের কথা আলাদাভাবে বলা যায়। ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানটির সুরকার লাকী আখান্দ্‌ যেভাবে গেয়েছেন, সেই একই গান কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের কণ্ঠে ধরা দিয়েছে ভিন্নভাবে, ভিন্ন সংগীত পরিচালনায়। দুইভাবেই পরিবেশিত গানটি শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরদিনের জন্য গেঁথে আছে। একই ঘটনা ‘মামুনিয়া’ ও ‘বিড়ালের ছানা’ গান দুটিতে। সুরকার নিজের কণ্ঠে গেয়েছেন যে সংগীত আয়োজনে, সুর অবিকৃত রেখে গায়ক ফেরদৌস ওয়াহিদকে দিয়ে গানটি গাইয়েছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। সামিনা চৌধুরীর কণ্ঠে ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’, জেমসের কণ্ঠে ‘লিখতে পারি না কোনো গান আজ তুমি ছাড়া’, আইয়ুব বাচ্চুর ‘কী করে বললে তুমি’, লাকী আখান্দে্‌র নিজের কণ্ঠে ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’ কিংবা ছোট ভাই হ্যাপী আখান্দ্‌কে নিয়ে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া ‘স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে গান লিখেছি’ বাংলাদেশের আধুনিক গানের ইতিহাসে ভিন্ন এক ধারার মাইলফলক হয়ে আছে।

ফোক ফিউশনের সঙ্গে পাশ্চাত্য সুরের মেলবন্ধন তাঁর সৃষ্টির মূল অবলম্বন। বিশেষ করে স্প্যানিশ সুর মূর্ছনার প্রতি লাকী আখান্দে্‌র আগ্রহ দেখা গেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘শুরু থেকেই স্পেন ও গ্রিসের মিউজিক আমাকে স্পর্শ করে। এগুলোই আমার গানে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো শিক্ষক পাইনি। তবে নিজে নিজে শেখার চেষ্টা করেছি।’

তবে পাশ্চাত্য ও আধুনিক সুরের প্রভাবে লাকী আখান্দে্‌র মৌলিক প্রতিভাকে ম্লান করতে পারেনি কখনো; বরং দেশীয় ধ্রুপদি ও ঠুমরির সুরে তৈরি করেছেন অন্তত দুটি গান, যা মন কেড়েছে সংগীতবোদ্ধাদের। কাওসার আহমেদ চৌধুরীর কথায় গজল ও ক্ল্যাসিক্যাল সুরের ওপর তৈরি করা ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়ল তোমায়’ গানটি নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কণ্ঠে যে সুরে তুলে দিয়েছেন, তাতে প্রমাণ হয়, লাকী আখান্দ্ বহুমাত্রিক সুর ও সংগীতের মানুষ ছিলেন।

ঠুমরির ওপর ছেলের কোনো কাজ নেই, এমন অনুযোগ ছিল মা নুরজাহান বেগমের। মায়ের ইচ্ছায় নিজেরই লেখা ‘ভুলতে পারিনি তোমায়, তুমি কে বলো না’ গীতিকবিতাটিকে ঠুমরি ধাঁচে সুর করে নিজেই গাইলেন লাকী। চমৎকার সুরারোপের জন্য মুগ্ধ হয়ে মা নুরজাহান বেগম পুরস্কার হিসেবে ছেলের হাতে তুলে দেন ১০ হাজার টাকা।

ছোটবেলায় লাকী আখান্দ্‌
ছোটবেলায় লাকী আখান্দ্‌পারিবারিক অ্যালবাম থেকে

ভিন্ন ধারার সুরে নিরীক্ষাধর্মী সংগীতায়োজনে আগ্রহী বলে লাকী আখান্দ্ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন এস এম হেদায়েত, গোলাম মোরশেদ কিংবা কাওসার আহমেদ চৌধুরীর মতো ভিন্ন ধারার গীতিকারদের সঙ্গে কাজ করতে। এর মধ্যে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর কলমে উঠে আসা ঝরঝরে সহজবোধ্য আধুনিক রোমান্টিক গীতিকবিতা লাকীর সুরে পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা।

সংগীতের রাজপুত্রখ্যাত লাকী আখান্দ্‌ আমাদের মাঝে নেই। আছে তাঁর সৃষ্টি করা অদ্ভুত সব সুর। আজও এমন কোনো অনুষ্ঠান হয় না, যেখানে তাঁর গান গাওয়া হয় না, তাঁর সুর বাজে না। বেশির ভাগ ঘরোয়া সংগীতের আসর শুরু হয় ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গান দিয়ে। এভাবে ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘নীল মণিহারে’, ‘ফেরারি পাখি’র মধ্যে কিংবা ‘কবিতা পড়ার প্রহরে’ লাকী আখান্দ্‌ বেঁচে থাকবেন যুগের পর যুগ।
(লেখাটি বিভিন্ন সাক্ষাৎকার,প্রবন্ধ অবলম্বনে করা হয়েছে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.