বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বড় ও ছোট ফেনী নদীতে জেলেদের জালে গতকাল মঙ্গলবার ধরা পড়েছে আড়াই ও দুই কেজির ৫০টি ইলিশ মাছ। ইলিশগুলোর মধ্যে ১০টি আড়াই ও ৪০টি দুই কেজি ওজনের। একই সময় আকারে আরেকটু ছোট ইলিশ ধরা পড়েছে ১৫০ কেজি।
সব মিলিয়ে গতকাল জেলেদের জালে ছয় মণের বেশি ইলিশ ধরা পড়ে। মাছগুলো নদীর তীরে আড়তে নিয়ে নিলামে তুললে তিনজন মাছ ব্যবসায়ী ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮০০ টাকায় কিনে নেন। পরে বাজারে এনে বড় ৫০টি মাছ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তাঁরা।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, উপজেলার চর খোন্দকার ও আদর্শগ্রাম এলাকার জেলে মো. মানিক মিয়া, সফি উল্যাহ, আবদুল মতিন ও নুর নবী চারটি ট্রলার নিয়ে গতকাল বিকেলে মাছ ধরতে বড় ও ছোট ফেনী নদীর শেষ প্রান্তে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জাল ফেলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জোয়ার কমতে থাকায় জালে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ে। পাশাপাশি ছোট ইলিশও ধরা পড়ে।
জেলে আবদুল মতিন বলেন, সব কটি ইলিশ তাঁরা চারজন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন।
মাছ ব্যবসায়ী নেয়ামত উল্যাহ বলেন, আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে, দুই কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার টাকা কেজি দরে এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। অন্য ইলিশগুলো ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
বাজার থেকে আড়াই কেজি ওজনের দুটিসহ ৫টি মাছ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনে বাড়ি ফিরছিলেন আবদুর রহিম নামের একজন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তিনি প্রবাসে থাকেন। ছুটিতে দেশে আছেন। ইলিশ তাঁর প্রিয় মাছ। বড় ইলিশ দেখে এতগুলো একসঙ্গে কিনে ফেলেছেন।
নদী ও সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে জানিয়ে উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় স্থানীয় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন। ফলে নদীতে টানা ও বসানো জালে এখন বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরা পড়তে শুরু করেছে। সামনে আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে বলে তিনি আশা করছেন।