অধিদপ্তরের একটি সূত্র বলেন, এই চাকরির জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পরে চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, সিদ্ধান্ত অনুসারে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা ছিল। সেটি ধরে ওই পরিমাণ শিক্ষককে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়াও চলছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসার কারণে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কয়েক কর্মকর্তার আপত্তির কারণেই অতিরিক্ত ১০ হাজার শিক্ষক নেওয়া যাচ্ছে না। তবে কোন কারণে তাঁরা আপত্তি জানালেন, এ বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি ওই কর্মকর্তা।
প্রাথমিকের ফলের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছিলেন, নভেম্বরের শুরুতে ফল প্রকাশিত হবে। পরে মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। তৃতীয় সপ্তাহ শুরু হলেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কিছু কিছু প্রার্থী। অনেকে জানান, তাঁরা বেকার। এখন দ্রুত চাকরি হলে তাঁদের বেকারত্ব ঘুচত ও পরিবারকে তাঁরা আর্থিক সহায়তা করতে পারতেন। কিন্তু সেটি হচ্ছে না। তাঁদের দাবি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।