প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলা: মির্জা ফখরুলসহ ৮৩ জনকে অব্যাহতি

0
7
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুসহ ৮৩ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন।

তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর ফখরুলসহ ৮৩ জনের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সেখানে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হলেও এজাহারে নাম থাকা ও গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অব্যাহতি প্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, আহমেদ খান, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২০২৩ সালের গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। হামলা চালানো হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।

ওই ঘটনায় রমনা মডেল থানার তৎকালীন এসআই মফিজুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপির ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.