প্রথমবারের মতো মহাকাশ মিশনে যাচ্ছেন সৌদির নারী নভোচারী

0
134
সৌদির নারী মহাকাশচারী রায়ানাহ বারনাভি

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে আজ রোববার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে একটি মিশন। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস আয়োজিত এই মিশনে থাকছেন সৌদি আরবের দুই নভোচারী। সৌদির নভোচারীরা এই প্রথম কক্ষপথ পরীক্ষাগারে যাবেন।

সৌদির এই দুই মহাকাশচারীর একজন রায়ানাহ বারনাভি। তিনি একজন স্তন ক্যানসার গবেষক। তিনি হতে যাচ্ছেন মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া সৌদির প্রথম কোনো নারী।

বারনাভির সঙ্গে এই মিশনে সৌদির অপর যে নভোচারী থাকছেন, তাঁর নাম আলী আল-কারনি। তিনি পেশায় যুদ্ধবিমানের পাইলট।

মিশনটি চার সদস্যের। সবার বামে রায়ানাহ বারনাভি
মিশনটি চার সদস্যের। সবার বামে রায়ানাহ বারনাভিছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় আজ রোববার বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে সৌদির এই দুই নভোচারীসহ চার সদস্যের মিশনটির যাত্রা শুরু হবে।

অ্যাক্সিওম মিশন ২ (অ্যাক্স-২) নামের এই মিশনের অপর দুই সদস্য হলেন পেগি হুইটসন ও জন শফনার।

পেগি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একজন সাবেক মহাকাশচারী। তিনি চতুর্থবারের মতো আইএসএসে যাচ্ছেন।

শফনার পেশায় ব্যবসায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের এই ব্যক্তি মিশনটিতে পাইলট হিসেবে কাজ করবেন।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এই চারজন প্রায় ১০ দিন থাকবেন
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এই চারজন প্রায় ১০ দিন থাকবেনছবি: এএফপি

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এই চারজন প্রায় ১০ দিন থাকবেন। সেখানে তাঁদের কাল সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে পৌঁছানোর কথা।

বারনাভি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, সৌদিসহ এ অঞ্চলের প্রথম নারী নভোচারী হতে পারাটা তাঁর জন্য একটা বড় আনন্দ ও সম্মানের বিষয়। এই মিশনের অংশ হতে পেরে তিনি খুবই খুশি।

বারনাভি আরও বলেছিলেন, আইএসএসে থাকাকালে গবেষণা তো বটেই, ফিরে এসে শিশুদের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে তিনি অধীর হয়ে অপেক্ষা করছেন।

মিশনে সৌদির দ্বিতীয় নভোচারী আল-কারনি একজন পেশাদার যুদ্ধবিমানের পাইলট। তিনি বলেছিলেন, সব সময় অজানা বিষয় অনুসন্ধান, আকাশ-তারার রহস্য জানার ব্যাপারে তাঁর মধ্যে একটা প্রবল আগ্রহ কাজ করে এসেছে। এই আগ্রহ সরাসরি মেটাতে পারা তাঁর জন্য একটা বড় সুযোগ।

চার সদস্যের এই দল আইএসএসে থাকাকালে প্রায় ২০টি পরীক্ষা চালাবেন। এর একটি হলো, মহাকর্ষণ–শূন্য পরিস্থিতিতে স্টেম সেল কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে। তাঁরা আইএসএসে অবস্থান করা আরও সাতজনের সঙ্গে যোগ দেবেন।

আগে একবার সৌদির এক নভোচারী মহাকাশ অভিযানে গিয়েছিলেন। তিনি প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ। সৌদির বিমানবাহিনীর সাবেক এই পাইলট ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত মহাকাশ ভ্রমণে অংশ নিয়েছিলেন।

মহাকাশ মিশনে সৌদির কোনো নারীর যুক্ত হওয়াটা তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটির জন্য প্রথম ঘটনা হতে যাচ্ছে। দেশটিতে নারীরা মাত্র কয়েক বছর আগেই গাড়ি চালানোর অধিকার পেয়েছেন।

সৌদি আরব ২০১৮ সালে সৌদি স্পেস কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর জন্য সংস্থাটি গত বছর একটি প্রকল্প চালু করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.