সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হকসহ আটজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে আরও আছে বেতন-ফি কমানো, শ্রেণিকক্ষ–সংকট নিরসন, রাত ১০টা পর্যন্ত বাসের ট্রিপ চালু, গ্রন্থাগারের পরিসর বাড়িয়ে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা, বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের আধুনিকায়ন, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর ও স্বাস্থ্যবিমার নামে হয়রানি বন্ধ করা।
স্মারকলিপি দেওয়ার আগে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করে ছাত্রফ্রন্ট সাদেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও আরাফাত সাদের সঞ্চালনায় সেখানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা মোজাম্মেল হক।
ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা বলেন, ‘আমরা যে দাবিগুলো তুলছি, সেগুলো মূলত শিক্ষার্থীদেরই মৌলিক অধিকারের দাবি। কিন্তু প্রশাসন পরিস্থিতি এমন করে রেখেছে যে অধিকারহীনতাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমরা এই স্বাভাবিকতা ভাঙতে চাই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন জ্ঞান তৈরি ও চর্চার জন্য উপযুক্ত মানবিক পরিবেশ নেই। হলে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে থাকেন। উচ্চ মূল্য দিয়ে নিম্নমানের খাবার খান তাঁরা। আদব-কায়দা শেখানোর নামে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। শ্রেণিকক্ষ–সংকটের কারণে ক্লাসেও শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসেন, পড়ানোর পরিবেশ নেই।’