৩৮ বছর বয়স! এই বয়সে বেশির ভাগ ফুটবলার বুট জোড়া খুলে রেখে অবসর সময় উপভোগ করেন। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখনো দলকে ট্রফি জিতিয়ে চলেছেন। তাঁর জোড়া গোলেই গতকাল রাতে আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে আল হিলালকে হারায় আল নাসর। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পরও রোনালদোর কল্যাণে জয় পেয়েছে তারা। প্রথমে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গোল করে পিছিয়ে থাকা দলকে সমতায় ফেরান রোনালদো। এরপর অতিরিক্ত সময়ে তাঁর গোলেই শিরোপা নিশ্চিত করে আল নাসর।
চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপার সঙ্গে ব্যক্তিগত পুরস্কার হিসেবে গোল্ডেন বুট জিতেছেন রোনালদো। ফাইনালের দুই গোলসহ টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ৬ গোল করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। কিন্তু এটুকুতেই যেন সন্তুষ্ট নন রোনালদো। উল্টো ফাইনাল শেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার না পাওয়ায় তাঁকে যেন খানিকটা অসন্তুষ্টই লাগল। রোনালদোর বদলে এই পুরস্কার জিতেছেন আল হিলালের মিলানঙ্কোভিচ-সাভিচ।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা বলছে, পুরস্কার ঘোষণার পর আয়োজকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন রোনালদো এবং তাদের কাছ থেকে এর ব্যাখ্যাও দাবি করেছেন। এ সময় আঙুল উঁচিয়ে দুইও দেখান রোনালদো। অর্থাৎ ফাইনালে দলকে জেতানোর পথে জোড়া গোল করাকেই ইঙ্গিত করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
কিন্তু দলকে ফাইনাল জেতানোর পথে এত কিছু করেও কেন পুরস্কারটা জিততে পারলেন না সেটা মানতে পারছিলেন না পর্তুগিজ তারকা। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকার এমন আচরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে–বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ রোনালদোকেই এই পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন। আবার কারও মতে আয়োজকদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধের রোনালদোর এমন আচরণ দেখানো উচিত হয়নি।
তবে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতা নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকলেও দলকে শিরোপা জিতিয়ে দারুণ আনন্দিত সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ম্যাচ শেষে দলের সঙ্গে মেতেছেন বাঁধভাঙা উল্লাসে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েও আল নাসরের হয়ে শিরোপা জেতাকে উদ্যাপন করেছেন রোনালদো।
ম্যাচের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি দিয়ে রোনালদো লিখেছেন, ‘দলকে প্রথমবারের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জেতানোর পথে সাহায্য করতে পেরে দারুণ আনন্দিত। ক্লাবের যাঁরা দারুণ এই অর্জনের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। আর আমার পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ, যাঁরা সব সময় আমার পাশে ছিলেন। আমাদের সমর্থকেরা দারুণ সমর্থন দিয়েছেন। এটা আপনাদের জন্যও।’