স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চট্টগ্রামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) করা এক মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এই রায় দেন। তবে ঢাকায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের অপর একটি মামলার আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছে।
আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান।
বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর এবং ঢাকার ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ওই বছরের ২৭ অক্টোবর পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রবাসী সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেন, মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল অয়াদুদ মিয়া। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদেরকেও আসামি করা হয়েছে। এই দুই মামলায় জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর রোববার হাইকোর্টে শুনানি গ্রহণ করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া, হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে।