পাহাড়ের জুম্ম জনগোষ্ঠীর ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলির বিচার দাবি করেছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিও করেন তারা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ‘আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানার থেকে শিক্ষার্থীরা এ দাবি তোলেন।
এ সময় খাগড়াছড়িতে পাহাড়িদের ওপর হামলা-লুটপাট-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করা হয়। এর সঙ্গে জড়িতদেরও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
তাদের অভিযোগ, যেখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব ছিল মানুষের নিরাপত্তা দেয়া, সেখানে তারা উল্টো গুলি করছে। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এক দেশে দুই ধরনের শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না।
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে অবরোধ চলাকালে আজ গুইমারায় একটি বাজারে আগুন দেয়ার ঘটনা হয়েছে। আগুনে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়।
দু’পক্ষের বিরোধের জেরে খাগড়াছড়িতে চলছে অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা। নিরাপত্তা জোরদারে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ দোকানপাট। যানবাহন চলাচলও অনেকটাই কম।
এর আগে, দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অবরোধের সমর্থনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফ’র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সব পক্ষের সাথে বৈঠকে বসে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
গতকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জেলা সদর ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সংঘর্ষে জড়ায় পাহাড়ি-বাঙালিদের দু’পক্ষ। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় মারমা স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এই ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়।