পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নসহ কোনো বিষয়ে বর্তমান সরকার ভূমিকা রাখেনি বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। তিনি বলেন, চুক্তির ২৬ বছরের মধ্যে ১৭ বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে বহুবার চুক্তি বাস্তবায়ন ও ১৯০০ সালের শাসনবিধি নিয়ে বললেও তা আলোর মুখ দেখেনি। বরং জুম্ম জনগণকে এ চুক্তি ভুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
রাঙামাটি শহরের রাজদ্বীপ এলাকার সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক কার্যালয়ে শুক্রবার হেডম্যান সম্মেলনে এসব কথা বলেন সন্তু লারমা। তিনি বলেন, সরকারের বিশেষ মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯০০ সালের শাসনবিধিতে সংশোধনী আনার ষড়যন্ত্র করছে। এটি জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব বিলুপ্তির প্রক্রিয়া।
সংশোধিত কোনো অংশ পার্বত্য চুক্তির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হলে মেনে নেওয়া হবে না। চুক্তি বাস্তবায়ন ও ১৯০০ সালের শাসনবিধি নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হেডম্যান, কারবারিসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সন্তু লারমা।
সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি কংজরি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, জেলা হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সুবীর কুমার চাকমা, নারী হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি জয়া ত্রিপুরা প্রমুখ।
মোমবাতি জ্বেলে সন্মেলন উদ্বোধন করেন মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী। সম্মেলনের প্রধান বক্তা চাকমা সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায় বলেন, ১৯০০ সালের শাসনবিধি ১২৪ ধরে জীবিত। এতে প্রথাগত আইন থেকে সব প্রতিষ্ঠান এবং পার্বত্য চুক্তি প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে স্থান পেয়েছে। সরকার ১৯৯৭ সালে এ শাসনবিধির পক্ষ নিয়ে চুক্তি করে। এর ওপর আঘাত আমরা মানব না। এ সংশোধনী রুখে দিতে হবে।
পরে কংজরী চৌধুরীকে সভাপতি ও শান্তি বিজয় চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছর মেয়াদে ৩১ সদস্যর নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সন্তু লারমা।