শেয়ারবাজারের লেনদেন কমেছে। সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ৩৪৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ব্লক মার্কেটে। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাজার পাবলিক মার্কেটের কেনাবেচা মাত্র ২৩৬ কোটি টাকা। পাবলিক মার্কেটের এ লেনদেন গত ২৭ ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন। এ ছাড়া রোববারের তুলনায় গতকালের সার্বিক লেনদেন ১০৭ কোটি টাকা কম।
বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, ক্রমাগত দরপতনে এবং নতুন করে সব শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস ফিরিয়ে আনার প্রেক্ষাপটে প্রতিদিন কিছু না কিছু শেয়ার ওই নিম্ন সীমায় নেমে যাচ্ছে। এসব শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে না বা হলেও অতি সামান্য।
দেখা গেছে, সব শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপের তৃতীয় দিনে গত ৬ মার্চ ঢাকার শেয়ারবাজারে ৭২৭ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমছে। যদিও মাঝে গত ১৫ মার্চ ৬০৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়
গতকালের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রথম তিন দিন ঘণ্টায় যেখানে ১৬৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, সেখানে শেষ দেড় ঘণ্টাতে হয় ১৭৯ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে চতুর্থ ঘণ্টাতে কেনাবেচা হয় ১২৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ তিন কার্যদিবসে চতুর্থ ঘণ্টায় লেনদেন হচ্ছে বেশি।
ব্লক মার্কেটে চতুর্থ ঘণ্টার লেনদেন বাজারের সার্বিক লেনদেনে বড় প্রভাব রাখছে। এ সময়ে বিভিন্ন কোম্পানির বড় লেনদেন হচ্ছে। গতকাল ব্লক মার্কেটে ভর করে শেষ দেড় ঘণ্টায় লেনদেনের অঙ্ক মোট লেনদেনের ৫২ শতাংশ।
গতকাল ডিএসইতে ৫১ শেয়ারের দর বেড়েছে। অন্যদিকে ৩৫টির দর কমেছে এবং দর অপরিবর্তিত ছিল ২৩৪টির। ক্রেতার অভাবে গতকাল ৭০ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কোনো লেনদেন হয়নি। দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ইমাম বাটন। ৭ শতাংশ দর বেড়ে এর শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ৮৮ টাকা ৭০ পয়সায়। এর পরের অবস্থানে থাকা শ্যামপুর সুগারের সাড়ে ৬ শতাংশ এবং চার্টার্ট লাইফের ৩ শতাংশ দর বেড়েছে।
বিপরীতে টানা বৃদ্ধির পর আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ার ১০ শতাংশ দর হারিয়ে ১৭৬ টাকা ৪০ পয়সায় নেমেছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারির ১৩২ টাকা থেকে এর দরবৃদ্ধি শুরু হয়। গতকাল লেনদেনের শুরুতে ১৯৫ টাকায় ওঠার পরই দরপতন শুরু হয়। এ ছাড়া টানা তৃতীয় দিনে দরপতন হয়েছে বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মো প্লাস্টিকসের।