পাটুরিয়া ঘাটে বেড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে ঘাট এলাকার কোথাও পা রাখার ঠাই নেই। ভিড়ের কারণে লঞ্চে উঠতে না পারায় যাত্রীরা ফেরিতে করে পার হচ্ছেন নদী। আবার অনেক যাত্রী আগে বাড়ি যাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে লঞ্চেই নদী পার হচ্ছেন।
জানা যায়, ঘাট এলাকাকে যানজট মুক্ত রাখতে নদী পারাপারের যাত্রীদের বাস থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যাত্রীদের প্রায় আধা কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে লঞ্চ ও ফেরিতে উঠতে হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি পারাপারের যানবাহন ঘাটে এসে ফেরিতে উঠে নদী পার হচ্ছে। তবে ঘাটে এ সময় লঞ্চ পারাপারের যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতি বছর ফেরি পারাপারের যাত্রীদেরকে ঘাটে এসে ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে এবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ফেরির অপেক্ষায় না থেকে লঞ্চে করে নদী পার হচ্ছেন। আর এই সুযোগে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকরা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পার হচ্ছে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহিম খান করেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অফিসের কর্মকর্তা খালেদ নেওয়াজ জানান, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ২০টি ফেরি, ২২টি লঞ্চ ও আরিচা কাজীর হাট নৌ-রুটে ৭টি ফেরি ও ১০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী এবং যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় এবার যানজট সৃষ্টি হয়নি। লঞ্চের যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে তাদেরকে ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে।