দীর্ঘদিন পর শনিবার আবার মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ভারত-পাকিস্তান। এ দুই দেশের লড়াইয়ের ভাগ্য যার ব্যাট ঠিক করে দিতে পারে, তিনি বিরাট কোহলি। এশিয়া কাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বৈরথে নামার আগে পাকিস্তানি বোলারদের প্রশংসা করলেন বিরাট। জানালেন, সতর্কতার সঙ্গে পাকিস্তানি বোলারদের সামলাতে হবে। তার কথায় কিছুটা ভীতিও ফুটে উঠেছে।
স্টার স্পোর্টসে কথা বলার সময় বিরাট বলেন, আমার মনে হয়, পাকিস্তানের শক্তি হলো ওদের বোলিং। ওদের দলে দারুণ কিছু বোলার আছে। যাদের দক্ষতা আছে যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচের পটপরিবর্তন করে দেওয়ার।
বিরাট নিজে অবশ্য এক দিনের ক্রিকেটে ভালো ছন্দেই রয়েছেন। শেষ ১৩ ম্যাচে ৫৫৪ রান করেছেন এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। গড় ৫০.৩৬। নিজের মানসিকতা নিয়ে বিরাট বলেছেন, আমি সব সময় বোঝার চেষ্টা করি, কীভাবে আমার খেলাটা ভালো হবে। প্রত্যেকটা দিন, প্রতিটা বছর, প্রতিটা নেট প্র্যাকটিসে আমি নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করি। এভাবেই আমি খেলে এসেছি। এ মানসিকতাই আমাকে এতদিন সাহায্য করে এসেছে। আর আমার দলকেও।
বিরাট আরও বলেছেন, আমার মনে হয় না, এ মানসিকতা ছাড়া ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা সম্ভব। যদি শুধু নিজের পারফরম্যান্স ভালো করাই লক্ষ্য থাকে, তা হলে একটা সময়ের পরে আত্মতুষ্টি এসে যাবে। আর তা হলেই পরিশ্রম করার ইচ্ছেটা চলে যাবে। মাথায় রাখতে হবে, উন্নতি করার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা হয় না।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ তিনটি এক দিনের ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। কিন্তু শেষ ম্যাচটি ছিল সেই ২০১৯ বিশ্বকাপে। তারপর পাক দলে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ভারতীয় দলেও নতুন মুখ দেখা গিয়েছে। তবে তখনো ভরসার নাম সেই বিরাট কোহলি ছিল, এখনো তাই আছে।
বিরাট স্পষ্ট করে বলেছেন, এ রকম কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই, যা ছুঁতে পারলেই বলে দেওয়া যাবে আপনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন। তাই আমি প্রতিদিন উন্নতি করার লক্ষ্যে ঝাঁপাই। আমার মনের মধ্যে সব সময় একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে, কিভাবে দলকে আমি এ অবস্থা থেকে জেতাব। এই মানসিকতাই আমাকে সাফল্য এনে দেয়।