পুলিশ যখন তাঁর লাশ উদ্ধার করে, তখন অলিভিয়ার শরীরের নিচের অংশ ছিল অনাবৃত। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, যে অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে অভিনেত্রীর মৃত্যু তাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয়নি। পুলিশ আসার ১২ ঘণ্টা আগেই অভিনেত্রী মারা গিয়েছিলেন। অলিভিয়ার বন্ধুবান্ধব বলেছিলেন, এক বছর আগে প্রেমিকের আত্মহত্যা, আরও এক বছর আগে এক বন্ধুর আত্মহত্যায় নোভা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
প্রেমিকের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অলিভিয়া। একাকিত্ব থেকে নাম লেখান পর্নোগ্রাফিতে। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে বাসা নিয়ে থাকতেন। মাদক নিতেও শুরু করেন। এর পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি মূত্রনালিতেও সংক্রমণ দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পরামর্শও দেন। তখন অলিভিয়া বুঝতে পারেন তাঁকে বেঁচে থাকতে হলে পরিবর্তন হতে হবে।
ভালোবাসার মানুষ ও কাছের মানুষের জন্য তিনি বাঁচতে চেয়েছিলেন। এ জন্য নিজেকে পরিবর্তন করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি মারা যান। প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যু বললেও ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানায়, তার মৃত্যু স্বাভাবিক। মূত্রনালিতে সংক্রমণের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁর পরিবার আর বন্ধুবান্ধব বলছেন তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। পর্নো ছবির দুনিয়া থেকে ফিরে আসতে চাওয়াই কি তাঁর মৃত্যুর কারণ হলো? এখনো এটি রহস্য হয়ে রয়েছে।