পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা

0
97
নকল তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা

পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। আবার কোনো শিক্ষককে দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাকবোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন। এমনটা দৃশ্য দেখা গেলো লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসা (লক্ষ্মী-০২) পরীক্ষা কেন্দ্রে।

দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ের একটি শ্রেণিকক্ষের সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকরা নিজ পকেট থেকে পরীক্ষার্থীদের হাতে নকল তুলে দিচ্ছেন। একজন শিক্ষক দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন, আরেকজন পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষার্থীদের বলে দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো কক্ষে দেখা মেলে শিক্ষকরা নিজেই ব্ল্যাক বোর্ডে উত্তর লিখে দিচ্ছেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারির সাধারণ গণিত পরীক্ষা ও ৩ মার্চ ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাবার পরেও শিক্ষকরা দরজা আটকে পরীক্ষা নিয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা অনুযায়ী দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র কমিটিতে ৫ জন সদস্যের কথা থাকলে বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসার কেন্দ্রসচিব হামিদুল ইসলাম নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করে উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশ নেওয়া বিভিন্ন মাদরাসার সুপার/অধ্যক্ষসহ ১০ জনকে নিয়ে কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি নিজেরা তাদের মনগড়া সিদ্ধান্তনুযায়ী মাদরাসা বোর্ডের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহসহ অনিয়মে সহযোগিতা করছেন, বলে অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসা (লক্ষ্মী-০২) কেন্দ্রে ১০টি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ৮টি কক্ষে পরীক্ষা হলেও সিসিটিভির ক্যামেরা রয়েছে ৩টি কক্ষে। অপর ৫টি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, তবে সে কক্ষগুলোতেও একইভাবে অসুদপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রিয়াংকা দত্ত। তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.