এই সরকারের শুভবুদ্ধি উদয় হওয়ার আর কোনো রকমের সম্ভাবনা নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণ অবশ্যই তাদের অধিকার আদায় করে নেবে এবং আগামী দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এর আগে আজ হাইকোর্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদকে দেওয়া ৯ বছর ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে এই রায়ের বিষয়ে সাংবাদিকেরা বিএনপির মহাসচিবের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তিনি এই রায়কে ‘ফরমায়েশি’ বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘জনগণকে চলমান আন্দোলন থেকে দূরে রাখা, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন যাতে না হতে পারে, সে লক্ষ্যে সরকার এ কাজগুলো করছে। কিন্তু এবার জনগণ সেটা করতে দেবে না। এ ঘটনা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল, এই সরকারের কোনো রকমের শুভবুদ্ধি উদয় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই মামলাগুলোর রায় থেকে বোঝা যায়, ‘এই সরকার সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা দখল করে নিয়েছে, বিচারব্যবস্থাকে দখল করে নিয়েছে, ফরমায়েশি রায় দিয়ে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে তারা আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। সেটা সম্ভব নয়।’
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) সে চেষ্টা করছে, এমন অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই রায় দিয়ে কোনো দিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।
এর আগে বিএনপির মহাসচিবসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক, শহীদউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
আজকে দিনে জিয়াউর রহমানের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনব। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র নির্মাণ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে, এই হচ্ছে আজকে আমাদের শপথ।’