পরিবেশবান্ধব গ্রাম হিসেবে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে হাঙ্গেরির পাপাতেসজার

0
16
হাঙ্গেরির পাপাতেসজার

হাঙ্গেরির পাপাতেসজার গ্রাম যেন এক টাইম মেশিন। পাখির চোখে দেখলে মনে হয়, শত বছর আগের কোনো এলাকা। পুরো গ্রামে নেই বহুতল কোনো ভবন। পানি তোলা কিংবা খাবার প্রক্রিয়ার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে প্রাচীন রীতি। এমনকি চোখে পড়েনা মোবাইল টাওয়ার, গাড়ি কিংবা বৈদ্যুতিক কোনো লাইন।

মুলত পুরো গ্রামটি গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব ধারণার ভিত্তিতে। ব্যবহার করা হয় নবায়নযোগ্য জ্বালানী। বায়োগ্যাস আর সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় জ্বালানী।

এখানকার টাউনের মেয়র বেলা ভলফিংগার বলেন, প্রতিটি বাড়িতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহৃত হয় সৌর প্যানেল। গ্রামের যেকোন অবকাঠামো নির্মানের ব্যাপারে আমার প্রথম শর্তই থাকে কিভাবে পুরো ব্যাপারটিকে ইকো-ফ্রেন্ডলি করা যায়। তবে সবসময় আমার সাথে একমত পোষণ করেন না অনেক প্রকৌশলী। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল।

মধ্যযুগের আদল আর আধুনিক ধারণার সমন্বয়ে তৈরী করা হয়েছে একেকটি বাড়ি। কংক্রিটের স্থাপনার পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানের ব্যবহার আর টেকসই স্থাপনার মাধ্যমে তৈরী হয় এসব বাড়ি।

সাধারণ মানুষেরা বলেন, যখন দেখলাম সবাই সোলার প্যানেল ব্যবহার করছে তখন আমিও সিদ্ধান্ত নেই সোলার প্যানেল স্থাপন করার।এই ১০ কিলো-ওয়াট সিস্টেম আমার ফ্যাক্টরির জন্য যথেষ্ট। এমনকি আমার বাড়ির বিদ্যুতের চাহিদার পুরোটাই মিটে যায়।

পাপাতেসজার গ্রামে বাসিন্দার সংখ্যা মাত্র ১২শ। তবে দূষণমুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে গ্রামটিকে ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। একদিকে এলাকাটিতে বৃদ্ধি পেয়েছে পর্যটকদের সংখ্যা। অন্যদিকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যও অনেকে আসছেন গ্রামটিতে। ২০২৩ সালে ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট স্টার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে গ্রামটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.