ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ২২ রান দরকার ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। বৈভব অরোরার করা ওভারের প্রথম দুই বলে জফরা আর্চার ডাবল ও সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দিলেন শুভম দুবেকে। পরের তিন বলে ছক্কা-চার-ছক্কা! শেষ বলে জিততে লাগে ৩ রান। ওই বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান আর্চার। কলকাতা পায় ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়। আর এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে থাকলো রাহানের দল।
টসে জিতে ব্যাট করে কলকাতা তোলে ৪ উইকেটে ২০৬ রান। আন্দ্রে রাসেলের তাণ্ডবে রাজস্থানের বোলাররা যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। প্রথম ৯ বলে ২ রান করা রাসেল পরের ১৬ বলে করেছেন ৫৫ রান! এবারের আইপিএলে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের এটিই প্রথম ফিফটি।
অংকৃশ রঘুবংশীর ৩১ বলে ৪৪ এবং রাহানে-গুরবাজের ত্রিশোর্ধ ইনিংসের পর রিংকু সিং ১ চার ও ২ ছক্কায় ৬ বলে করেন ১৯ রান।
রান তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ বলে বৈভব সূরিয়াবংশীকে হারানো রাজস্থান দ্বিতীয় ওভারে হারায় ক্রুনাল সিং রাঠোরকে। এরপর রিয়ান পরাগকে নিয়ে যশস্বী জয়সোয়ালের জুটি হয় ৩১ বলে ৫৮ রানের। একসময় ৭১ রান তুলতে রাজস্থান হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।
এরপর রাজস্থান অধিনায়ক পরাগ চালান তাণ্ডবলীলা। ১৩ ও ১৪তম ওভার মিলিয়ে টানা ছয়টি বৈধ বলে ছক্কা মেরে ইডেনের দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন এই উইলোবাজ। তবে ১৬তম ওভারে ২৯ রান করা হেটমায়ার বিদায় নিলে এরপর সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পরাগও। ৪৫ বলে ৯৫ রান করার পথে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটার। ইমপ্যাক্ট হিসেবে নামা শুভম দুবে খেলেন ১৪ বলে ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। তবে শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরি ডবার অনুভূতি নিয়েই ফিরতে হলো তাকে।
কলকাতার পক্ষে দুটি করে উইকেট তুলে নেনে মঈন আলী, হারশিত রানা ও বরুন চক্রবর্তী।