রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন কাদেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
রুপম উত্তরা ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শ্রীমন্তপুর এলাকায়। তার বাবার নাম বাদরুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার সকালে সালাউদ্দিন কাদের পরিবারের ১৫-২০ জনসহ নৌকায় চড়ে পদ্মার চরে পিকনিক করতে যান। দুপুরে পদ্মায় গোসল করতে নামেন তারা। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন কাদের রুপম (৩৮) ও তার স্ত্রী মানজুরি তানভির নিশিসহ (৩২) দুই শিশু সন্তান নদীতে তলিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গোদাগাড়ী সদর স্টেশনের সাব অফিসার নমির উদ্দিন জানান, বনভোজনে গিয়ে রান্না শেষে কয়েকজন পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় রুপমের স্ত্রী নিশি ও দুই সন্তান সহ চারজন নদীতে তলিয়ে যান। তখন সঙ্গে থাকা অন্যরা প্রথমে দুই শিশুসন্তানকে জীবিত উদ্ধার করেন। পরে নিশিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। রাজশাহী সদর স্টেশন থেকে একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেই অভিযান শুরু করে। নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার সন্ধানে পদ্মার তলদেশে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলোর স্বল্পতার জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সকালে ব্যাংক কর্মকর্তা রুপমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আজ বিকেলে উপজেলার ডাইংপাড়া কবর স্থানে জানাজা শেষে তাদের মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।