রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ১৩ কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ৯ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার সকালে মাছটি বিক্রি হয়। এর আগে সকালে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাটুরিয়া নৌপথের মাঝামাঝি স্থানে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, আজ সকালে পাবনা অঞ্চলের জেলেরা পদ্মা-যমুনা নদীর মোহনায় মাছ শিকারে যান। জাল ফেলতে ফেলতে তাঁরা পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া নৌপথের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি সিলভার কার্প মাছ। মাছটি বিক্রি করতে তাঁরা যান দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। এ সময় দৌলতদিয়া ঘাটের রেজাউল মণ্ডলের আড়তে মাছটি তোলা হয়। প্রকাশ্য নিলামে ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৬৫০ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৮ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। পরে তিনি মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার এক ব্যক্তির কাছে মাছটি ৫০০ টাকা লাভে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
মাসুদ মোল্লা বলেন, কয়েক দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। এ কারণে অনেকে মাছ কেনা বাদ দিয়েছেন। এর ফলে এখন তুলনামূলক মাছের দাম কম যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা ও যমুনা নদীতে অস্বাভাবিকগতিতে পানি বাড়ছে। দ্রুত পানি বাড়ায় নদীর বুক অনেকটা ভরে গেছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলেদের জালে মাঝেমধ্যে ধরা পড়ছে বড় পাঙাশ, বাগাড়, রুইসহ সিলভার কার্পজাতীয় মাছ। গোয়ালন্দ উপজেলার পাশাপাশি পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুর অঞ্চলের জেলেরা মাছ শিকারে অপেক্ষা করেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে সিরিয়াল অনুসরণ করে জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে বের হন।
ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. ফরহাদ শেখ বলেন, পদ্মা নদীতে এমন বড় সিলভার কার্প মাছের দেখা খুব বেশি পাওয়া যায় না। হঠাৎ বিগহেড–জাতীয় মাছের দেখা মিললেও এত বড় সিলভার কার্প মাছ খুব একটা ধরা পড়ে না।