বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন জনগণের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করছে। পদযাত্রা কর্মসূচি সরকার পতন আন্দোলনের নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মহাসচিব এসব কথা বলেন। চলমান যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীনরা গোটা দেশকে অশান্ত অবস্থায় নিয়ে গেছে। বড় সংকট সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের চরিত্রই বদলে গেছে। তারা মুখে বলে একটা, করে আরেকটা। গোটা দেশবাসীর কাছে আওয়ামী লীগের চরিত্র এখন স্পষ্ট।
লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি আরও বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলনকে আরও গতিশীল করতে আজ ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সরকারের পতন নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে কি ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া যায় এবং সেই আন্দোলনে জনগণকে কিভাবে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যায় এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করব।
ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ জোর করে এককভাবে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। গোটা জাতিকে অশান্ত পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ দেশের মানুষ জানে না যে কিভাবে নির্বাচন হবে। জনগণকে ভোট দিতে পারবে কিনা সেটা জানে না।
বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মোহাম্মাদ শাহজাহান ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
১২ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে.জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মাদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন।