দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে পক্ষপাতিত্বমূলক অথবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলে কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেছেন, যদি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনে করেন কোনো সন্ত্রাসী ও পক্ষপাতিত্বমূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তখন পুলিশ ডেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন। যদি না পারেন ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে চলে যাবেন। একটি, দুটি, পাঁচটি কেন্দ্র বন্ধ হওয়া কোনো ব্যাপার নয়। প্রয়োজনে সেখানে আবার ভোট হবে। কিন্তু কোনো ছাড় নয়।
বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে সভায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, তিন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোটারদের ভয় দেখালে আইনের আওতায় আনা হবে: ইসি রাশেদা
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন পরিচালনায় ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ভোটারদের বাধা দিলে বা ভয়ভীতি দেখালে শাস্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধি ছিল না। এবার সেই আদেশ সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন কেউ ভোটারকে বাড়ি, রাস্তায় বা ভোটকেন্দ্রে ভয় দেখালে অথবা হুমকি-ধমকি দিলে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাই ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন।
নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় নির্বাচনে জেলার প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রাজশাহী রেঞ্জের উপমহা পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জসিম উদ্দিন হায়দার, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ডিসি আবু নাছের ভূঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদকর্মীর ওপর হামলা হলে দ্রুত ব্যবস্থা: ইসি আনিছুর
হবিগঞ্জে ইসি আনিছুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের সময় যদি কোনো সাংবাদিকের ওপর হামলা হয় বা ক্যামেরা ভাঙচুর হয় তা দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিশেষ সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বেশি থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় যোগ দেন তিনি। সভায় সিলেট বিভাগের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমান, বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার আসিব আহসান, হবিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ডিসি দেবী চন্দসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।