মাহিয়া মাহি, অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশ নিতে চেয়েও মনোনয়ন পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ‘রাজশাহী-১’ আসন থেকে গেল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েও পরাজিত হন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে নেতাকর্মীরা সব পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে দল ত্যাগ করছেন, তবে মাহি দুঃসময়েও নৌকার সঙ্গে থাকবেন বলে জানালেন।
বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের কাছে মাহিয়া মাহি তার চাওয়ার কথা জানালেন। বললেন, বর্তমান সরকারের কাছে আমার কিছু চাওয়া আছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা অন্য যেকোনো সংগঠনের কর্মীরা যেন ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ বলার অধিকার পায়। তাদের যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের মানুষের মানবিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে হবে, বৈষম্য করা যাবে না। বিনোদন ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সচেষ্ট থাকতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা যেন দুর্নীতিমুক্ত থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে চলচ্চিত্রে কাজ কমে যায় মাহির। আগের মতো আবার চলচ্চিত্রে ফেরার ইচ্ছে আছে তার। মাহি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পেয়েছে এখনো এক মাস হয়নি। তাদের সব কিছু গুছিয়ে উঠতে সময় লাগবে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বন্যা।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মাহিয়া মাহি বলেন, এই পরিস্থিতি সামলাতেও দেরি হবে। দেশের এই পরিস্থিতিতে কেউ বিনোদনের দিকে নজর দেবে বলে মনে হয় না। কোনো প্রযোজক লগ্নি করবেন কি না সেটা নিয়েও আমি সন্দিহান। আমি যে অঙ্গনটিতে কাজ করি, সেই চলচ্চিত্র এখন ক্রান্তিলগ্নে। নতুন সরকার এই অঙ্গনটাকে প্রাধান্য দেবে। কারণ শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ না ঘটলে তো জাতির উন্নতিও আশা করা যায় না।