২০১০ সাল; দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরের ১৩ বছর হয়ে গেছে। এর মধ্যে ইংলিশরা দু’বার বাংলাদেশ সফরে আসলেও সিরিজ খেলার জন্য ডাক পায়নি একবারও। অস্ট্রেলিয়া সফরের স্মৃতি আরও পুরনো। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ দলকে ওয়ানডে খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর তারাও বাংলাদেশে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-২০ খেলে গেছে। একাধিকবার বাতিল করেছে সূচিতে থাকা বাংলাদেশ সফর।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারের পর এবং টি-২০ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ জয় পাওয়ার পর তামিম ইকবাল বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন যে পর্যায়ে আছে তাতে নিয়মিত তাদের ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলতে যাওয়া উচিত।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলকে তামিম বলেছেন, ‘২০১০, অনেকদিন আগের কথা। তবে ওই ইনিংসের স্মৃতি (লর্ডসে সেঞ্চুরি) সব সময় মনে থাকবে। ইংল্যান্ডে সেঞ্চুরি করা সহজ নয়। আমাদের মতো, দলের জন্য সেটা আরও কঠিন। ওটা এমন এক স্মৃতি যা আমি ক্রিকেট ছাড়লেও হৃদয়ের খুব কাছে থাকবে।’
বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে তামিম বলেছেন, ‘আপনাদের (ইংল্যান্ড) উচিত আমাদের নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো। ২০১০ সালের খেলার বিষয়টি ছিল দূভাগ্যবশত। বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন যে পর্যায়ে আছে তাতে আমাদের নিয়মিত ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলা উচিত। আমি জানি না, কেন আমাদের ডাকা হয় না। ১৩ বছর হলো আমরা ইংল্যান্ড যাই না (দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে)। অন্তত সাদা বলের ক্রিকেটে এতো ভালো খেলার পর ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলার ডাক পাওয়া উচিত।’
তামিম সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করে বলেছেন যে, বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সফরে গেলে ম্যাচ দেখতে প্রচুর দর্শক আসবে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ যার বড় প্রমাণ। এছাড়া ইংল্যান্ডে প্রায় ৬ লাখ নিবন্ধিত বাংলাদেশের মানুষ আছেন। যারা বাংলাদেশের খেলা দেখতে আসবেন বলে বিশ্বাস ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের।
তিনি বলেন, ‘আমি হলফ করে বলতে পারে, ইংল্যান্ডে খেলা হলে ইংল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশের দর্শক বেশি থাকবে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা মনে করুন, আমাদের দর্শকরা ইংলিশ দর্শকদের গ্যালারিতে পাত্তা দেয়নি। যেকোন ফরম্যাট হতে পারে, আমরা ইংল্যান্ডে গেলে গ্যালারি ভর্তি দর্শক হবে।’