নাগরিক ঐক্য, এবি পার্টিসহ নিবন্ধনে আগ্রহী এক ডজন রাজনৈতিক দলের তথ্য মাঠ পর্যায়ে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
এসব দলের কেন্দ্রীয় জেলা ও উপজেলা কমিটি সক্রিয় রয়েছে কি না এবং থানা পর্যায়ের ২০০ সমর্থনসূচক তালিকা সঠিক কি না, তা যাচাইবাছাই করা হবে ১৫ দিনের মধ্যে। যাদের তথ্য তদন্ত করে সঠিক পাওয়া যাবে তারাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নিবন্ধিত হতে পারবে।
ইসি সচিব জানান, নতুন দল নিবন্ধিত হতে ৯৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। নানা পর্যায়ে বাছাইয়ে বেশ কিছু আবেদন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বাদ পড়ে ১৬টি আবেদন, দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ের তথ্য দিতে না পারা ও ঠিকানা ভুল হওয়ায় বাতিল হয় আরও ৩১টি আবেদন। পরে যাচাইবাছাইয়ে নিবন্ধন শর্তের প্রাথমিক তথ্য পূরণ করতে না পারায় আরও ৩৪টির আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, ১২টি দলের তথ্য মাঠ পর্যায়ের তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধন যোগ্য দলগুলো নিবন্ধন পেতে পারে।
প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকলো যে ১২ দল
এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
ইসি সচিব জানান, কমিশনের অনানুষ্ঠানিক সভা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন করে নিবন্ধন পেতে ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। এই আবেদনগুলো যাচাইবাছাই করার জন্য যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছে। মাঠ পর্যায়ে পাওয়া এই ১২টি দলের তথ্য যাচাইবাছাই করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী জুনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী তিনটি শর্তের যে কোনো একটি শর্ত পূরণ করলে সেই রাজনৈতিক দলটি নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
নতুন দলের জন্য শর্ত হলো, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও অন্তত ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।