প্রায় এক যুগের ক্যারিয়ার হলেও সিডনি সুইনি আলোচনায় এসেছেন বছর পাঁচেক হলো। এইচবিওর সিরিজ ‘ইউফোরিয়া’ তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে দেয়। একই প্ল্যাটফর্মের আরেক সিরিজ ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ তাঁর পরিচিতি আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে সিরিজে অভিনীত চরিত্র, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবি, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে করা মন্তব্য নিয়ে বরাবরই সমালোচনা ও বিদ্রূপের শিকার হন ২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী।
চলচ্চিত্রবিষয়ক সাময়িকী ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিডনি জানিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার ও জীবন নিয়ে নতুন উপলব্ধির কথা।
সিডনি জানান, বিনোদন দুনিয়া নিয়ে এখন তাঁর ধারণা আগের চেয়ে অনেক পরিষ্কার। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের শক্তির জায়গা খুঁজে পেয়েছি। প্রতিদিন যা করি, তা থেকে শেখার চেষ্টা করি, মাথা খাটাই। এভাবে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।’
জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সাফল্যের হাতিয়ার, এই প্রচলিত প্রবাদের গুরুত্বও ভালোভাবেই বুঝেছেন তিনি, ‘জ্ঞানই আসল শক্তি। এটা বোঝার পর নিজেকে অনেক স্বাধীন আর আত্মবিশ্বাসী মনে হয়। এ জন্য আমি “ইউফোরিয়া”র চরিত্রটিকে কৃতিত্ব দেব। চরিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে আমার ভাবনায় বদল এসেছে।’
শুরুতে অনেকের ধারণা ছিল যে কেবল গ্ল্যামারাস, আবেদনময় চরিত্রেই ভালো করতে পারেন সিডনি। তবে গত মে মাসে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘রিয়েলিটি’তে তাঁকে দেখা গেছে একেবারেই গ্ল্যামারহীন চরিত্রে, যা তাঁর খ্যাতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে খ্যাতি নিয়ে ভাবেন না সিডনি। নিজেকে এখনো বড় অভিনেত্রী মনে করেন না।
এখন ভক্তদের সামনে যতটা সম্ভব ঠিকঠাকভাবে চরিত্রটি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন বলেও মন্তব্য করেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর হলিউডে কাজের সুযোগ পেয়েছেন, নিজের অভিনয়দক্ষতা আরও বাড়িয়ে ক্যারিয়ারকে পরের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান সিডনি।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এমন সময় গেছে যখন সপ্তাহে ৫ থেকে ১০টি অডিশন দিতাম, একটা থেকেও ডাক পেতাম না। তবে আপনার যদি বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি থাকে, ব্যর্থতায় ভয় পাবেন না। তাই আমি হাল না ছেড়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি।’ ভ্যারাইটির সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সিডনি সুইনি কথা বলেন তাঁকে ঘিরে নানা সমালোচনা নিয়েও। অভিনেত্রী মন্তব্য করেন, তাঁকে নিয়ে মানুষের বেশির ভাগ ধারণাই ভুল।
সাম্প্রতিক সাফল্যে বড় বড় প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সিডনি। এর মধ্যে আছে মার্ভেলের সুপারহিরো সিনেমা ‘ম্যাডাম ওয়েব’। এ ছাড়া মাইকেল মোহানের সাইকোলজিক্যাল হরর সিনেমা ‘ইমাকুলেট’-এ দেখা যাবে তাঁকে। অভিনয়ের সঙ্গে ছবিটি প্রযোজনাও করেছেন তিনি।