ক্যারিয়ারের প্রথম হিন্দি ছবির প্রসঙ্গে সিরাত বলেন, ‘অভিষেক সব সময় বড় বিষয়, বিশেষ অনুভবের বিষয়। আমি সত্যি ভাগ্যবতী যে তুষার কাপুর আর তাঁর প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে আমি আমার ভ্রমণ শুরু করলাম। মারিচ ছবির গল্প আর বিষয়বস্তু ব্যতিক্রম।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রথম দর্শক আমাকে দক্ষিণের বাইরে কাজ করতে দেখছেন। এটা আমার জন্য খুবই রোমাঞ্চকর, বিশেষ সুযোগ বটে। আমার জীবনের এক সুন্দর অধ্যায় এখন। কারণ, এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখন দর্শক আমাকে কীভাবে গ্রহণ করবেন, সেটাই দেখার।’
উত্তর আর দক্ষিণ ভারতীয় ছায়াছবির দুনিয়ার তফাত প্রসঙ্গে সিরাত বলেন, ‘এই দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আমি কোনো তফাত দেখতে পাই না। বরং আমার চোখে বেশি মিল ধরা পড়ে। এই দুই ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক কিছু একসঙ্গে বেঁধে রেখেছে। আমি মনে করি, কাজের ধারা নির্ভর করে আমি যে দলের সঙ্গে কাজ করছি, তার ওপর। হিন্দি হোক বা দক্ষিণ—সব ছবি আলাদা হয়। প্রতিটা ছবির কাজের পরিবেশ ভিন্ন হয়।’
নিজের চলচ্চিত্র–ভ্রমণ নিয়ে সিরাত বলেছেন, ‘আমার কোনো অনুশোচনা নেই। কারণ, আমি বিশ্বাস করি যে আমার জীবনের প্রতিটা অধ্যায় কোনো না কোনো কারণের জন্য ঘটেছে। আমি যখন পেছনের দিকে ফিরে তাকাই, তখন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। কারণ, আমার এই ভ্রমণের জন্য আমার কোনো পথপ্রদর্শক ছিলেন না। আমি নিজের চেষ্টায় সবকিছু করেছি। আর এ যাত্রায় আমি অনেক শিক্ষা পেয়েছি। রাতে যখন নিজের ঘরের আলো নিভিয়ে শুতে যাই, তখন যেন সম্পূর্ণ নিজেকে খুঁজে পাই।’
১৬ বছর বয়সে সহনৃত্যনির্দেশক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সিরাত। ২০১৪ সালে তেলেগু ছবি রান রাজা রান ছবির মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি।