জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিউইয়র্কে তার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বৈঠক হতে পারে। এই দুই নেতার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে।
এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়া মোড়ের ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা-ইসলামাবাদ। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে স্থবির হয়ে পড়েছিল এ দুই দেশের সম্পর্ক।
এ নিয়ে অবগত কয়েকটি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদন করেছে বলে জানায় এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। তাতে বলা হয়, শেখ হাসিনার আমলে কোনো সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে পাকিস্তানি কূটনীতিকদের দেখা করাটা ছিল কঠিন কাজ। তবে গত কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তানি কূটনীতিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শেহবাজ শরিফের মধ্যে টেলিফোনে কথা হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
ট্রিবিউন এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ঢাকায় পাকিস্তানি হাইকমিশনার ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মধ্যে এমন একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে দুই পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়া আছে।
আর সম্পর্ক সংশোধনের চলমান প্রচেষ্টায় গতি আনতে চলতি মাসের শেষ দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন শেহবাজ শরিফ।
এই দুই নেতার মধ্যে যদি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে গত কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হবে এটি। কারণ, ক্ষমতাচ্যূত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে এ ধরনের যোগাযোগ বন্ধ ছিল।