নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করল ইসরায়েল

0
37
হাশেম সাফিউদ্দিন
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিউদ্দিনকে হত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।
 
মঙ্গলবার ২২ (অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, সাফিয়েদ্দিনকে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে তিন সপ্তাহ আগে তাকে হত্যা করা হয়। তবে এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হলো। এর আগে ইসরায়েলের দাবি ছিল, সাফিয়েদ্দিন সম্ভবত তাদের হামলায় মারা গেছেন। খবর রয়টার্সের।
 
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, আমরা নাসরুল্লাহ, তার উত্তরসূরি ও হিজবুল্লাহর অধিকাংশ শীর্ষ নেতাদের ধরেছি। যারা ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার হুমকি দেয় তাদেরও আমরা ধরব।
 
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এই দাবির বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
 
নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করতেন সাফিয়েদ্দিন। তিনি জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন, যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটির সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
 
হাসেম সাফিয়েদ্দিন হাসান নাসরাল্লাহর চাচাতো ভাই এবং তার মতোই একজন ধর্মীয় নেতা। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর হিসেবে পরিচিতমূলক কালো পাগড়ি পরেন।
 
গত মাসে লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হলে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন নেতা নিয়ে আলোচনায় আসেন হাসেম সাফিয়েদ্দিন। হাসেম সাফিয়েদ্দিনের পারিবারিক সম্পর্ক এবং নাসরুল্লাহর সঙ্গে তার শারীরিক সাদৃশ্য ছিল। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) বংশধর। এ কারণে তার ধর্মীয় মর্যাদাও ছিল। এসব বিষয় হিজবুল্লাহর হাল ধরতে তার পক্ষে সহায়ক হতে পারত।
 
২০১৭ সালে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
 
প্রায় সময়ই দেশের জনগণের উদ্দেশে বিবৃতি দিতেন হাসেম সাফিয়েদ্দিন। সেখানে হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের বিষয় উঠে আসে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.