নাটোরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইল ও নাটোরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে শহিদুলকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অন্যজন হলেন নাটোরের এন এস সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন। আজ মঙ্গলবার তাঁদের দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে সকালে তাঁদের দুজনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। দুপুরে পুলিশ তাঁদের নাটোর সদর আমলি আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শহিদুল ইসলাম ও জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানির জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করবেন।
আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে গত রোববার দুপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিউন হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। রোববার বিকেলে শহরের ফৌজদারিপাড়ার বাসায় গিয়ে শহিদুলের নিবন্ধিত পিস্তলটি জব্দ করে পুলিশ। একই দিন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই দিন শহরে প্রতিবাদ সভা করে আওয়ামী লীগ। সভায় শহিদুলের গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও প্রচার করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার ওই ভিডিওর বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শহিদুল ইসলামের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করায় আত্মরক্ষার জন্য তিনি নিজের নিবন্ধিত পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। সেই গুলি কারও শরীরে লাগেনি।