দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোয় ৪–১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধেই ৪ গোল তুলে নেওয়ার পথে প্রতিটি গোলেই নেচেছেন নেইমার–ভিনিসিয়ুসরা। এরপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘আইটিভি’কে রয় কিন বলেছেন, ‘দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। জীবনে (মাঠে) এত নাচ দেখিনি। মনে হচ্ছিল “স্ট্রিকলি কাম ড্যান্সিং” (ব্রিটিশ ড্যান্স শো) দেখছি। আমি জানি এটা ওদের সংস্কৃতির অংশ। তবে প্রতিপক্ষের প্রতি এটা সত্যিই অসম্মানজনক।’
দোহায় সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে ভিনিসিয়ুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে ব্রাজিল তারকা পাল্টা খোঁচা মারেন, ‘হ্যাঁ, অন্যের সুখ দেখে কেউ কেউ অভিযোগ তুলবেই। আমরা ব্রাজিলিয়ানরা আনন্দ করতে ভালোবাসি, মজা করতে পছন্দ করি। ফুটবলে গোল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বকাপে তো আরও বেশি। তাই ওই (গোলের) মুহূর্তটা শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্যও উৎসবের উপলক্ষ্য। আমাদের এখনো আরও অনেক উদ্যাপন বাকি আছে। তাই ভালো খেলা প্রয়োজন এবং ফুরফুরে মেজাজে থাকতে হবে। কেননা, বিপক্ষের তুলনায় আমাদের পক্ষে থাকা লোকজনের সংখ্যাই বেশি।’
কোরিয়ার বিপক্ষে রিচার্লিসন ব্রাজিলকে তৃতীয় গোলটি এনে দেওয়ার পর খেলোয়াড়দের সঙ্গে নাচে যোগ দেন ব্রাজিলের কোচ তিতেও। ৬১ বছর বয়সী এই কোচ সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের বৈশিস্ট্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওরা বয়সে তরুণ। ওদের ভাষাটা বোঝার চেষ্টা করেছি। আর ওদের এই ভাষার একটি অংশ হলো নাচ।’
শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার সংবাদ সম্মেলনে ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেনও ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের নাচ নিয়ে কথা বলেছেন। নিজের ক্লাব জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গে ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ রয়েছে লভরেনের। ব্রাজিলিয়ানদের সংস্কৃতি সমন্ধে ভালো জানাশোনা আছে লিভারপুলের সাবেক এই ডিফেন্ডারের। লভরেন মনে করেন, নেইমার–ভিনিসিয়ুসদের নাচ প্রতিপক্ষের প্রতি মোটেও অসম্মানজনক নয়, ‘ওদের নাচতে দিন। আমি এর মধ্যে অসম্মানের কিছু দেখি না। ব্রাজিলিয়ানরা গানে জন্মায়, গানে বাঁচে। তাদের জীবনযাপন নিয়ে আমার ধারনা আছে। আমি এর মধ্যে ভুল কিছু দেখি না।’