দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে টয়লেটের কূপ খোঁড়ার সময় গ্রেনেডসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চা পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেখানে পুলিশ সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে পুলিশের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তবে বিকেল চারটা পর্যন্ত সেখানে তারা পৌঁছায়নি।
এ সম্পর্কে নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান বলেন, হেলেঞ্চা পূর্বপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে গর্ত খোঁড়ার সময় পাইনঅ্যাপেল গ্রেনেড পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনার পরপরই র্যাব–১৩–এর বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে বিষয়টি জানানো হয়। রাতে ঢাকায় পুলিশের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকেও বিষয়টি জানানো হয়। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে পুলিশের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁরা এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করবেন। ঘটনাস্থলে জননিরাপত্তায় পুলিশের একটি দল অবস্থান করছে।
থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে হেলেঞ্চা পূর্বপাড়া গ্রামে মহারাজা সরকারের বাড়ির উঠানে টয়লেটের কূপ খুঁড়ছিলেন প্রতিবেশী গোলাপ সরকার। একপর্যায়ে প্রায় পাঁচ ফুট নিচ থেকে খুন্তির আঘাতে শক্ত একটি বস্তু বের হয়ে আসে। গোলাপ সরকার খুন্তি দিয়ে আঘাত করলে এর ওপর থেকে শক্ত মাটি সরে যায় এবং গ্রেনেডসদৃশ্য বস্তু দেখতে পান। বিষয়টি তাঁরা থানায় জানান। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে সেটি উদ্ধার করে। উদ্ধার করা গ্রেনেডটি সেখানে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মহারাজ সরকার বলেন, ‘ছয় বছর আগে উঠানের ওই স্থানে বড় গর্ত ছিল। বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে মাটি এনে গর্তটি ভরাট করেছিলাম। এরপর সেখানে বাড়ি নির্মাণ করি। আমার ধারণা, একাত্তরে যুদ্ধের কোনো গ্রেনেড পুকুরে পরিত্যক্ত ছিল। গর্তটি ভরাট করার সময় হয়তো গ্রেনেডটি গর্তে পড়ে মাটিচাপা পড়েছিল।’