বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমন কমছে না। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জীব বৈচিত্র্যের ওপর। এ পরিস্থিতিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর সময় এসেছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে চীন।
নবায়নযোগ্য শক্তি ও অনেক ‘নতুন শক্তি’র প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশটি। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) তথ্যানুসারে, গোটা বিশ্বে ব্যবহৃত সোলার সেলের ৮৫ শতাংশই উৎপাদন করে চীন। এছাড়া সোলার সেল নির্মাণের অন্যতম উপাদান পলিসিলিকন ৮৮ শতাংশ, ৯৭ শতাংশ সিলিকন ইনগট এবং ওয়েফার তৈরি করে।
চীন নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। সম্প্রতি এ খাতে দেশটির প্রযুক্তিগত অগ্রগতি হয়েছে অনেক। নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে গতি বেড়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রচলিত পদ্ধতির ওপর চাপ কমেছে।
পৃথিবী ও জলবায়ুর স্বার্থে ভূরাজনীতি ও ‘ক্ষুদ্র স্বার্থ’ ভুলে এখন ইউরোপ, আমেরিকা ও চীনের দৃষ্টিকোণ বদলের সময় এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নতুন শক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাত বিকাশে তাদের ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে’ কাজের সময় এসেছে।
পৃথিবীতে বর্তমানে প্রধানত যে পাঁচ ধরনের নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো হলো- সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, পানিশক্তি, স্রোতশক্তি, ভূ-তাপীয় শক্তি ও জৈবশক্তি। নতুন শক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। যেমন- দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হওয়া পানিবিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য, তবে নতুন শক্তি নয়। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে শক্তির বিকল্প যে উৎস পরিবেশের ক্ষতি করবে না, তাকে বলা হচ্ছে ‘নতুন শক্তি’। এই নতুন শক্তির একটা রূপ হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তি। সূত্র: গ্লোবাল টাইমস