দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া। তাইওয়ানের প্রতি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে চীন। উগ্র জাতীয়তাবাদ গ্রহণ করছে ভারত। ইসরায়েল তার ইতিহাসে সবচেয়ে উগ্র সরকার গঠন করেছে। গত শনিবার ইসরায়েলে হামাসের ব্যাপক রকেট হামলার পর দেশটিও পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে। এ বিষয়গুলো ইঙ্গিত দেয়, বিশ্ব একটি নতুন বিশৃঙ্খলার মুখে রয়েছে। পরিণতি ভয়ংকর জেনেও অনেক দেশ ও হামাসের মতো রাজনৈতিক দলগুলো ভয়ের পরিবর্তে বড় ঝুঁকি নিচ্ছে।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ ব্যাখ্যা হলো– বিশ্ব একটি নতুন ক্রম পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, যা বিশেষজ্ঞরা বহুমুখী শব্দ দিয়ে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এখন আর আগের মতো প্রভাবশালী শক্তি নেই। ফলে অনেক জায়গায় রাজনৈতিক নেতারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ জাহির করতে সাহসী বোধ করেন। তারা মনে করেন, আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের সুবিধাগুলো খরচের চেয়ে বেশি হতে পারে। ওই নেতারা বিশ্বাস করেন, নিজস্ব অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তাদের আধিপত্য বেশি। মার্কিন সাংবাদিক ও ব্লগার নোয়া স্মিথ একটি নিউজলেটারে লিখেছেন, একটি সম্পূর্ণ বহুমুখী বিশ্ব আবির্ভূত হয়েছে। লোকেরা দেরিতে উপলব্ধি করছেন, বহুমেরুতে বেশ কিছুটা বিশৃঙ্খলা জড়িত।
দেশটির নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একজন চীনা রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঝেং ইয়ংনিয়ান একইভাবে একজন রাজা এবং বাকি সবাই প্রজার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, দেশগুলো এখন উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ভরপুর। বাঘ যেমন তাদের শিকারের দিকে সব সময় নজর রাখে, তেমনি সবাই এখন সুযোগ খুঁজে পেতে আগ্রহী। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।