দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ তোলার পর এবার নতুন দুটি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং-উন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ পরিদর্শন করেছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র দুটির এ পরীক্ষা চালানো হয়। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র দুটির রয়েছে শক্তশালী যুদ্ধক্ষমতা। তবে কোথায় এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র দুটির কী বৈশিষ্ট্য, তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, এগুলোর কার্যপ্রণালি ও সাড়াদানের পদ্ধতি অনন্য। বিশেষ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এসব প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র।
কেসিএনএ আরও বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি আকাশসীমায় লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে অত্যন্ত কার্যকর। কেসিএনএর প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, আকাশে ছুটে গিয়ে একটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে ক্ষেপণাস্ত্র। অন্য এক ছবিতে দেখা যায়, একজন সামরিক কর্মকর্তা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে কিম জং-উনকে বিস্তারিত জানাচ্ছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত সপ্তাহে কয়েকজন উত্তর কোরীয় সেনা দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করলে তাঁদের উদ্দেশ করে সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়।
ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ কমান্ডের হিসাব অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার প্রায় ৩০ জন উত্তর কোরীয় সেনা দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে প্রবেশ করেছিলেন।
এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কো জং চোলের একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছে পিয়ংইয়ংয়ের গণমাধ্যম। তিনি বলেছেন, ঘটনাটি ‘পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত উসকানি’।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের জন্য নতুন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করছে।
কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক হং মিন বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়ে উত্তর কোরিয়া যে শিক্ষা পেয়েছে, তার ভিত্তিতেই তারা সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।’