নতুন অর্থবছর ঘিরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রস্তুত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। মঙ্গলবার (৭ মে) পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। শিগগিরই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরকে লক্ষ্য করে এবার ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত করেছে কমিশন। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি ও বৈদেশিক ঋণ থেকে ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরেও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন আছে ১৩ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে নতুন এডিপির আকার দাঁড়াবে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এই খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দের পরিমাণ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেখানে বরাদ্দ থাকছে ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ নির্ধারিত হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য; ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা খাত; ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতের মধ্যে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাতে ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং কৃষি খাতে ১৩ হাজার ২১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ৬ হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ৪ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ধর্ম-সংস্কৃতি ও বিনোদনে ৩ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা, সামাজিক সুরক্ষায় ৩ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় ৩ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা এবং সাধারণ সরকারি সেবা খাতে ২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দসহ মোট প্রকল্প থাকছে ১ হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে স্থানান্তর হবে ১ হাজার ২৭৭টি প্রকল্প। বাকি ৬০টি নতুন প্রকল্প।