ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার সময় পকেটে এক হাজার ২২ ইয়াবা ট্যাবলেট লুকিয়ে ফেলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মীর মাহমুদুল হাসান। বিষয়টি উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটের সন্দেহ হলে তল্লাশি করে তাঁর পকেট থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার পর ওই কর্মকর্তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্যের মামলা আদালতে নিষ্পত্তি করার পর জব্দ মাদকদ্রব্য বিভিন্ন সময়ে আদালত চত্বরেই ধ্বংসের ব্যবস্থা করা হয়। বুধবার বিকেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসের আয়োজন করা হয়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের মালখানায় জমা থাকা ফেনসিডিল, স্কফ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও ইয়াবা ধ্বংস করতে চত্বরে নিয়ে আসার সময় এক প্যাকেট ইয়াবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মীর মাহমুদুল হাসান প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে ফেলেন। তাঁর প্যান্টের পকেট উঁচু দেখালে বিষয়টি উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটের সন্দেহ হয়। তিনি মাহমুদুল হাসানকে তল্লাশি করার জন্য উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন। তল্লাশি করে তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে এক হাজার ২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম জানান, এ ঘটনায় আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই সহকারী প্রসিকিউটরকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বলেন, মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।