রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করছে ‘২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র–জনতা’।
আজ বুধবার রাত আটটার দিকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বাড়িটিতে ঢুকে ভাঙচুর করেন।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৩২ নম্বর এলাকায় বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী মিছিল করছিলেন এবং স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।
কয়েক শ মানুষ বাড়ির ভেতরের প্রবেশ করে যে যেভাবে পারছেন বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভাঙার চেষ্টা করছেন। আর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া দাবি জানিয়ে বাড়ির বাইরে স্লোগান দিচ্ছেন কয়েক শ মানুষ।
এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিলের’ কর্মসূচির ডাক দেয় ‘২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র–জনতা’। পাশাপাশি ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ঘোষণাও করা হয়।
আজ রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের কথা রয়েছে। একে কেন্দ্র করে আজ বিকেলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি।
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই রাত আটটার দিকে সেখানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়।
রাত আটটার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানমন্ডিতে গিয়ে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে প্রথমে ফটক ভেঙে ফেলা হয়। পরে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ভবনের তৃতীয় তলার একটি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। রাত সোয়া ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বাড়িটির দেয়াল ভাঙতে শুরু করা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা সাতটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পর থেকে বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।