সূত্রগুলো জানায়, বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আইএমএফের ডিএমডি বলেছেন, কিছু ভর্তুকি গরিবদের সাহায্য করছে না, বরং বেশি সাহায্য করছে ধনীদের। যাঁরা গাড়ি হাঁকান এবং যাঁরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র (এসি) ব্যবহার করেন, তাঁরা দরিদ্র নন। ভর্তুকি যাতে গরিবের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি কমানো।
কাঠামোগত সংস্কারবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমডি বলেন, ‘সংস্কারের সঙ্গে জনগণের অংশীদারত্ব দরকার। অন্য অনেক সদস্যদেশের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখেছি যে মালিকানা গুরুত্বপূর্ণ। এতেই কাজটা ভালো হবে। আর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও আর্থিক খাতকে অধিকতর দক্ষ করতে সরকার যেসব সংস্কারকাজে হাত দেবে, তাতে সহায়তা করবে আইএমএফ। কর প্রশাসন ও করনীতি বিষয়ে পরামর্শ থাকবে আইএমএফের।’
বাংলাদেশের শক্তির জায়গাটা কোথায়, এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইএমএফের ডিএমডি বলেন, ‘বাংলাদেশ এ সময়ে কোনো সংকটে নেই। সংকটে যাতে না পড়তে হয়, এ জন্যই আমরা আজ এখানে। এ জন্যই ঋণ কর্মসূচিটি নেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজে দেবে। অন্য সদস্যদেশের ক্ষেত্রেও আইএমএফ একইভাবে এগিয়ে আসে।’
আইএমএফের ডিএমডি বলেন, উচ্চ মাত্রার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি দরকার। আর এ কারণেই দরকার কাঠামোগত সংস্কার। দরকার রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের অর্থায়নে দরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়ন।
মনসিও সায়েহের মতে, বাংলাদেশের এখন এমন সব নীতি প্রণয়ন দরকার, যা লাল ফিতার দৌরাত্ম্য অপসারণ করবে, বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সহজ করবে এবং আর্থিক খাতের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করবে। তিনি বলেন, সর্বনিম্ন কর-জিডিপির হার থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশকে।
মনসিও সায়েহ বলেন, এত সব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও অন্য অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।