দ্রুত ছড়াতে সক্ষম করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ফ্লার্ট

0
88
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ফ্লার্ট
বিশ্বজুড়ে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস মহামারির আরেকটি নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। সম্প্রতি ফ্লার্ট নামের এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম বলে এর নাম রাখা হয়েছে ফ্লার্ট। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রনের অভিযোজন থেকেই নতুন এই ধরন সৃষ্টি হয়েছে। ওমিক্রন জেএন-১ প্রজাতির অভিযোজনে তৈরি হয়েছে ফ্লার্টের কেপি-২ ও কেপি-১.১। এর ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা ওমিক্রন থেকে কয়েক গুণ বেশি। এছাড়া ওমিক্রনের উপসর্গের সঙ্গে ফ্লার্টের উপসর্গের বেশকিছু মিল রয়েছে। ফ্লার্টে আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই হালকা জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে হাসপাতালে না গিয়েও শুধু বাড়িতে বিশ্রাম নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে উঠছেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ফ্লার্টের নাম দিয়েছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’। করোনার এ ভ্যারিয়েন্টটিকে ব্যাপক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত টিকা তৈরিতে গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের শুরুর দিকে প্রথম করোনাভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পর এটির হাজার হাজার অভিযোজন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
করোনাভাইরাসের প্রধান ভ্যারিয়েন্ট বা ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে আলফা, বেটা, গামা, ডেল্টা, মু, আর-১, ওমিক্রন ইত্যাদি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশিরভাগ অভিযোজনের ক্ষেত্রেই ভাইরাসটির মূল গঠনের ওপর খুব কম প্রভাব পড়ে । আবার সময়ের সঙ্গে বিলুপ্তও হয়ে যায় এটি। তবে কোনো কোনো অভিযোজন এমনভাবে ঘটে, যা ভাইরাসটিকে টিকে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারিতে অন্তত ৭০ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে মারা গেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ। আর বাংলাদেশে ২০ লাখ ৪৯ হাজার আক্রান্তের বিপরীতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.