টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলছে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের এ ইজতেমা।
বিশ্বের ৭২ দেশ থেকে ৩ হাজার ২৫৬ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন ইজতেমার এই ধাপে। সেইসঙ্গে দেশের ২২টি জেলা থেকে দলে দলে তুরাগ তীরে আসছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। জেলাগুলো হলো মুন্সিগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, টাংগাইল, পাবনা, নরসিংদী, সাভার, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, নওগাঁ, বান্দরবন জেলা। এছাড়া যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মাদপুরসহ ঢাকার আশপাশ থেকেও অংশ নিচ্ছেন বহু মুসল্লি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খিত্তায় খিত্তায় ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটাচ্ছেন মুসল্লিরা। চলছে দ্বীন পালন ও দাওয়াতি কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা। জিকির আসকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিদেশ থেকে আগত মেহমানরাও।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, এবার ইজতেমায় পোশাকধারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাত হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। ময়দান এলাকায় র্যাবের হেলিকপ্টার টহল ছাড়াও বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড থাকবে। সাদা পোশাকে প্রচুর পরিমাণ নিরাপত্তা সদস্য রেখেছি। এ ছাড়া ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলার দিয়ে পুরো মাঠ দেখা হচ্ছে। ১৫টি সাব কন্ট্রোল কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে, সাব কন্ট্রোল কক্ষে যেকোনো রিপোর্ট করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, পুরো মাঠ ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন রয়েছে, ৩৫টি রুফটফ, স্থির ব্রিগেড ৫৩টি, ২০টি মোবাইল পার্টি সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থাকছে, ২০টি চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি করা হচ্ছে যেন কোনো দুষ্কৃতকারী ময়দানে প্রবেশ করতে না পারে।
এর আগে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এদিন সকাল সোয়া ৯টায় শুরু হয়ে মোনাজাত শেষ হয় ৯টা ৩৫ মিনিটে। এ ছাড়া সোমবার থেকে শুরু হওয়া সুরায়ে নিজামের বিশ্ব ইজতেমা আগামী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
এরপর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সাদপন্থিদের ইজতেমা।