পুরান ঢাকার নবাবপুর টাওয়ারের পাশে একটি মেস ও টিনসেড গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাত পৌনে ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৮ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রাত পৌনে ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় লেগে যায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দেয় সেনাবাহিনী।
তিনি আরও বলেন, নবাবপুর টাওয়ারের পাশে ৭০/এ লুৎফর রহমান লেনের একটি মেসে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর তা মেস সংলগ্ন প্লাস্টিক সামগ্রীর গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুনে বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয়। আশেপাশের লোকজন ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছোটাছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও চারটি ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হতাহতের কোনো খবর মেলেনি।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলের চারপাশে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের মালপত্রের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তবে আগুনের খবর পাওয়ার পরপরই সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা উৎসুক জনতাকে সরিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নেভাতে সহায়তা করেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গুলিস্তানে যানজট থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হয়। তবে আগুন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে কাজ শুরু করেন। ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারে দেশের অন্যতম বৃহৎ তৈরি পোশাকের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগে যায় সাড়ে ৭৫ ঘণ্টা। এতে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান ও গুদাম ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে গত ৭ মার্চ সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একটি ভবন ধসে পড়ে। এতে প্রাণ হারান ২৫ জন। ওই ঘটনাস্থলের অদূরে পূর্ব পাশেই বৃহস্পতিবার আগুনের ঘটনা ঘটে।